358495

বিটকয়েনের দাম কমে ৩৩ হাজার ডলারে

নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা বিটকয়েনের দাম পাঁচ দশমকি দুই শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৩ হাজার ৮৪৯ ডলারে নেমেছে। অন্যদিকে ইথার কয়েনের দাম ছয় দশমিক ২৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দুই হাজার ৬২ ডলারে নেমেছে। খবর: রয়টার্স, বিবিসি।

গত ১৪ এপ্রিল বিটকয়েনের দাম সর্বোচ্চ বেড়ে ৬৪ হাজার ৮৯৪ ডলার ছাড়ায়। ফলে গত শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মান ৪৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৩ হাজার ডলারে নেমে আসে।

মূলত গত সপ্তাহে চীন বিটকয়েনে বাণিজ্যিক লেনদেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিটকয়েনের দামে ধস নামে। এর আগে গত মার্চে বিটকয়েনের মাধ্যমে টেসলার গাড়ি কেনা যাবে, এমন ঘোষণায় বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করেছে ইরান: এদিকে চার মাসের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, মাইনিং নিষিদ্ধ করেছে ইরান। ব্যাপক আকারে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের কারণে ইরানের বিভিন্ন শহরে লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

শনিবার মন্ত্রিসভার এক মিটিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, লোডশেডিংয়ের মূল কারণ হলো খরার ফলে দেশটির জলবিদ্যুৎ প্রকল্প যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না। তবে তিনি এও বলেন, দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং, যার শতকরা ৮৫ ভাগই অবৈধ, প্রতিদিন প্রায় দুই গিগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। বিশ্বে মোট বিটকয়েন মাইনিংয়ের শতকরা সাড়ে চার ভাগ ইরানে হয়ে থাকে।

বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এলিপটিক বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের ফলে দেশটি জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টো সম্পদ জোগাড় করতে পারছে, যা দেশটিকে দরকারি সম্পদ আমদানিতে সহায়তা করছে।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পরপরই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। এর ফলে ইরানের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তেল রপ্তানিতে ধস নামে।

বিটকয়েনের কার্যক্রম চলে ব্লকচেইনের মাধ্যমে, যা আসলে লেনদেনের একটি ডিজিটাল খতিয়ান। মাইনাররা বিটকয়েন লাভের আশায় এ খতিয়ানের অডিট করেন। পুরো প্রক্রিয়াটিতে অসম্ভব উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ক্ষমতার দরকার হয় এবং সে কারণে এতে বিদ্যুৎ খরচও হয় অনেক বেশি।

এলিপটিক আরও বলছে, ইরান ২০১৯ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের অনুমোদন দেয় এবং পরে মাইনারদের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে। এর শর্ত ছিল এ কাজে জড়িত থাকলে পরিচয় জানাতে হবে, বিদ্যুতের জন্য উচ্চহারে বিল পরিশোধ করতে হবে এবং ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কেবল এ মুদ্রা বিক্রি করা যাবে।

দেশটির ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রিক কোম্পনি’ বলছে, বিদ্যুৎঘাটতির কারণে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনাররা স্বেচ্ছায় এই মুদ্রা মাইনিং বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, লাইসেন্সবিহীন মাইনাররা আগে তুলনায় ছয়-সাতগুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং সে কারণে তিনি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং নিষিদ্ধ করেছেন।

 

ad

পাঠকের মতামত