বারডেমের সেই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেই মারা গেছেন, বললেন অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন
বাংলা ট্রিবিউন : রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে সেই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৫ মে ওই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ করেছিলেন চিকিৎসকরা। আজ রবিবার (৩০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন রবিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন বুলেটিনে তিনি বলেন, আমরা মিউকরমাইকোসিসে একজন রোগীকে হারিয়েছি। সে-ই একজন বারডেমে মারা যাওয়া ব্যক্তি কিনা প্রশ্নে পরে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রজন্মের প্রেরণা: চসিক মেয়র রেজাউল করিম
এর আগে গত ২৫ মে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, আমরা সন্দেহ করছি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে আমরা কনফার্ম করছি না।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতর সেই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে।
মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে অনেক বেশি ভয়ের কোনও কারণ নেই জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ভারতীয় অংশে আমরা দেখেছি এই ইস্যুতে সেখানকার পরিবেশ ও হাসপাতালে যে অবস্থা ছিল, তাদের রোগীদের সেবায় স্টেরয়েড ব্যবহার, অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়ার ক্ষেত্রে যে তারতম্য, সেসব কারণে ভারতে এই পরিমাণে ছড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে কিছু কিছু রোগী আগেও ধরা পড়েছে, এখনও পড়ছে। আমরা মিউকরমাইকোসিসে একজন রোগী হারিয়েছি। অন্যান্য যারা চিকিৎসাধীন তাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
তবে মিউকরমাইকোসিসকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব রোগী ডায়াবেটিস, ক্যানসার, বিশেষত ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত, যারা কেমো পাচ্ছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড পাচ্ছেন, এসব রোগীর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
আশপাশে যতই মিউকরমাইকোসিস থাকুক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে আক্রান্ত করতে পারবে না। শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, সেটা যেন ঠিকমতো পরা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবহার শেষে যেন ঠিক জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।