ছয় মাস পর কঙ্কাল উদ্ধার, চার বছর পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক।। রাজধানীর মিরপুরে চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি মো. আকবরকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর রাজধানীর রূপনগর থানার দুয়ারীপাড়া এলাকা থেকে গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই’র ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবুল কালামকে হত্যার ছয় মাস পর মাটি খুঁড়ে তার কঙ্কাল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনার চার বছর পরে মামলার অন্যতম আসামি আকবরকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, রূপনগর থানার দুয়ারীপাড়া এলাকার গ্রিল ওয়ার্কসপ কর্মচারী আবুল কালাম ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় অপহরণ ও খুনের অভিযোগে নিহতের ভাই রূপনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ডিবি পুলিশ এই মামলার আসামি মো. শামীম মৃধা এবং মো. স্বাধীন মীরকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ। আসামি শামীম ও স্বাধীনের তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পরে ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর আসামি শামীমের ভাড়া বাসার মেঝে খুঁড়ে আবুল কালামের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আবুল কালামের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। আসামি স্বাধীন মীর আদালতে আবুল কালাম হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে শামীম, আকবর ও সুমনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও জানান।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ আসামি আকবর ও সুমনের এর প্রকৃত নাম ঠিকানা শনাক্ত করতে না পেরে শামীম মৃধা ও স্বাধীন মীরের নামের আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তবে এতে বাদীর না-রাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের বরাতে পিবিআই জানায়, নিহত আবুল কালামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আসামি শামীমের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
শামীম তার বন্ধু স্বাধীন, আকবর ও সুমন ঘটনার দিনে আবুল কালামকে কৌশলে বাসা থেকে অপহরণ করে রাতে ঢাকাস্থ বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে পূর্ব পাশে পানির ডোবার কাছে নিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ঘাসের নিচে লুকিয়ে রাখেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে পরদিন রাতের বেলায় তারা ঘাসের নিচ থেকে লাশ তুলে বস্তায় ভরে আসামি শামীমের ভাড়া করা দুয়ারীপাড়ার বাসার মেঝেতে গর্ত করে মৃতদেহ পুতে রাখেন। পরে তারা পালিয়ে যান।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার শামীম ও স্বাধীনের তথ্যমতে নিহত মো. আবুল কালামের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে আসামি আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পিবিআই। দৈনিক আমাদের সময়।









