358395

আমাদের অনেকের কাফনের কাপড় হয়তো বাজারে চলে এসেছে

নিউজ ডেস্ক।। হায়াত এবং রিযক কিভাবে বন্টিত হয় তা কিছুদিন আগে মর্মান্তিকভাবে অনুভব করলাম। কিছুদিন আগে আমার মামা মারা গেছেন।

উনি খুব শৌখিনটাইপের মানুষ ছিলেন। প্রতিটি ইভেন্টে নতুন কাপড়, প্রতিদিন নতুন পারফিউম উনার লাগতো। তাছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনটাইপের ছিলেন। তাই সামান্য সমস্যা ফিল করলে নানারকম টেস্ট করে ফেলতেন। যতদূর জানি উনার হার্টে তেমন সমস্যা ছিল না। কিন্তু উনি ল্যাব এইডে এনজিওগ্রাম করাতে চলে গেলেন।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাবেন এজন্য বেশকিছু নতুন কাপড় সেলাই করলেন। অবাক ব্যাপার যে, এনজিওগ্রামের পর একদম সুস্থ একজন মানুষ যিনি দশ মিনিট আগেও ফোনে হেসে হেসে কথা বলছেন, দশ মিনিট পর ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা গেলেন।

ঈদের কাপড় কেনার জন্য ঘরের সবাইকে জিজ্ঞেস করছিলাম কার কার লাগবে। আব্বার প্রসঙ্গ আসতেই জানালেন উনার কাপড় অনেক বেশি হয়ে গেছে। কারণ মামার সমস্ত নতুন কাপড় উনাকে ফিট করেছে। মামা একবারও পরতে পারেননি কাপড়গুলো। যে সময় উনি কাপড়গুলো সেলাতে দিয়েছিলেন ঐসময় অন্য জায়গায় উনার কাফনের কাপড় রেডি হচ্ছিল।
আমাদের অনেকের কাফনের কাপড় হয়তো বাজারে চলে এসেছে।

হয়তো আজকে যে মাছ মাংস কিনে ফ্রিজে রেখেছি তা অন্য কেউ খাবে, হয়তো আজকের আয় করা সম্পদও অন্য কারো রিযকে আছে। আবার, আরেকজন কষ্ট করে হয়তো আমার জন্য আয় করছে। বন্টনের মালিক কিভাবে বন্টন করেন তা একবার ওয়েদার ম্যাপগুলোতে দেখে নিয়েন। আমি ঝড়তুফান, বৃষ্টির সময় অবাক হয়ে ম্যাপগুলো দেখি। কিভাবে মেঘগুলো বিশেষ এলাকায় বেশি করে জমা হয়, আবার অন্য জায়গায় যায়ই না।

সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই বা না চাই আমাদের মৃত্যু চলে আসবে। বহু কিসিমের উপদেশ দিয়ে লাভ নাই, নিজের গুনাহরই তো শেষ নাই। তবে, শুধু সত্যটা বলার অভ্যাস করলেই মনেহয় বহুকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। সত্য বলা এবং সত্য গ্রহণ করা। এই জিনিসটার অভাবে পুরো পৃথিবীতে সমস্যা লেগে গেছে।

 

ad

পাঠকের মতামত