355933

স্ত্রীর নাম লিখে অন্য সঙ্গিনী নিয়ে কেনো বিশ্রামে গেলেন মামুনুল

নিউজ ডেস্ক।। হেফাজত নেতা মামুনুল হক রিসোর্টে ওঠার সময় রেজিষ্টারে প্রকৃত স্ত্রীর নাম ও এনআইডি নাম্বার লিখেছেন, কিন্তু তার সঙ্গিনী ছিলেন ভিন্ন নারী। জনরোষে হতবিহ্বল হয়ে নয় বরং তর্কাতীতভাবে এটা তার সজ্ঞান মিথ্যাচার ও পাপ। আলোচনার সুবিধার্থে ধরে নিলাম তিনি সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে চলে আসতো পরবর্তি কোন ঘটনাই যদি না ঘটতো। তাহলে প্রকৃত স্ত্রী জানতেই পারতেন না যে তার স্বামী অন্যনারীকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারই নাম ব্যবহার করে। কিংবা হয়তো শরীয়াহ মোতাবেক বিয়েও করেছেন তাকে না জানিয়েই, যা শরীয়তের লঙ্ঘন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মামুনুল হকের রয়েল রিসোর্টে ঘটনার পরম্পরা :

৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে এক সঙ্গিনীসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব মামুনুল হককে সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ঘেরাও করে আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উক্ত সঙ্গিনীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন এবং নাম বলেন আমেনা তৈয়্যবা। এমনকি রিসোর্টে ওঠার সময় পরিকল্পিতভাবেই রেজিষ্টার খাতায় তার স্ত্রী’র নাম ও এনআইডি নাম্বার লিখেছিলেন। তার সঙ্গিনীর আসল নাম জান্নাত আরা ঝর্না।

রিসোর্ট থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে মামুনুল হক বলেন, তার সঙ্গে থাকা ওই নারী ঝর্ণা তার বন্ধু শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। পরিস্থিতির কারণে তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন এবং তাকে অনুরোধ করেন যাতে তিনি যাতে উক্ত বিয়ের কথা জ্ঞাত বরে স্বীকার করেন, তার স্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে জিজ্ঞাসা করেন ঘটনা সত্য কিনা? তার জবাবে মামুনুল বলেন তিনি এসে সব বুঝিয়ে বলবেন। এর পরপরই মামুনুলের বড় বোন তার প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করলে কৌশলে উত্তর দিতে বলেন।

রিসোর্ট থেকে বের হওয়ার পর ঝর্ণার সঙ্গে ফোনালাপে মামুনুল হক জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা আমার ব্যাগ তো তোমার কাছে? উত্তরে ঝর্না বলেন, সমস্যা নাই ব্যাগ আমার কাছে আর টাকা সরিয়ে রেখেছি।

রাতে বাসায় ফিরে মামুনুল ফেইসবুক লাইভে এসে বলেন, যিনি আমার সঙ্গে ছিলেন তিনি আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আমার সহকর্মী হাফেজ শহীদের সাবেক স্ত্রী। আড়াই বছরের দাম্পত্য কলহের কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ঝর্না অসহায় হয়ে পড়লে মানবিক কারণে তাকে বিয়ে করি।

ঐ রাতেই মামুনুলের ঘটনায় দুই হেফাজত নেতা মাওলানা ফজলুল করিম কাশেমী ও আহম্মেদ ফয়সাল টেলিফোনে বলেন, মামুনুল এ কাজটি ঠিক করেনি। আড়াই বছর ধরে সে মোহাম্মদপুর এক ফ্লাট কিনে সেখানে ঝর্নাকে নিয়ে রেখেছে, কাউকে জানায়নি। এখনআমাদের প্রথম কাজ হেফাজতকে রক্ষা করা, এরপর মামুনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ঘটানার জের ধরে ৩ এপ্রিল রাতে ও ৪ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ, মহেশখালী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হামলা ও ভাংচুর চালায় হেফাজত কর্মীরা। তার এক শিষ্য ফেইসবুক লাইভে এসে মামুনুল হককে তার রুহানী পিতা উল্লেখ করে বলেন যারা তার রুহানী পিতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন তাদের উৎখাত করা হবে।

৩ এপ্রিল রাত থেকেই গণমাধ্যম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে এই ঘটনায়। সাব্বির খান দাবি করেছেন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক ওয়াজে মামুনুল হক বেশ গর্ব করেই তার একমাত্র স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধের কথা বলছিলেন। তখন তিনি তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার কথা বলেননি। কারণ তিনি ঝর্নাকে রেখেছিলেন গোপন রক্ষীতা হিসেবে। মামুনুলের বিয়ের কথা তার স্ত্রী কিছুই জানতেন না। গণমাধ্যমে এই নারীঘটিত কেলেংকারীর কথা শুনে মামুনুলের স্ত্রী মুষরে পড়েন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ভোটার আইডি বা ন্যাশনাল আইডিতে স্বামীর নাম হিসেবে মামুনুল হকের নাম উল্লেখ নাই। অর্থাৎ তিনি মামুনুল হকের স্ত্রী নয়।

মামুনুল হক দুইজন সাক্ষী রেখে ‘হয়ত’ সেই নারীকে বিয়ে করেছেন অথবা করেননি, কিন্তু সেই নারীকে তিনি তার প্রথম স্ত্রী এবং সমাজের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন। শরীয়ত মতে স্ত্রীর অনুমতির বাধ্যবাধকতা তিনি মানেননি। মামুনুল বিয়ের কথা বললেও এর কোন রেজিষ্ট্রেশন হয়নি, দলিলপত্রও দেখাতে পারেননি। মামুনুল একজন চরিত্রহীন লম্পট হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রথম স্ত্রীর কাছে বিষয়টি গোপন রাখেন। যা কঠিন শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ।

উল্লেখ্য, ইসলামি শরিয়তে দুইপক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট সাক্ষির সামনে বিয়ে পড়ানো বৈধ। তবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নিবন্ধন না করা অপরাধ। ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন না করলে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

এদিকে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রেও ইসলামি শরিয়তে কোন সমস্যা নেই। তবে এটিও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অপরাধ। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

৪ এপ্রিল রাতেই ফেসবুকে এএসএম মুসা অভিযোগ তুলে বলেছেন অতীতে শিশু বলাৎকারের অভিযোগেও শাস্তি পেয়েছেন মামুনুল। ১৯৯৪ সালে মামুনুল ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায় মিশকাত/ ফজিলত জামাতের শিক্ষার্থী থাকাকালীন এক শিশুর বিরুদ্ধে যৌননিপিড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম (ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল) মুফতি মানসুরুল হক তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করেন।

১৯৯৯ সালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার জামেয়া নিজামিয়া বেতুয়া মাদ্রাসার শিক্ষক থাকাকালীণ নুরুল আলম নামক এক শিক্ষার্থীর সাথে যৌনসম্পর্কের অভিযোগ উঠে। উক্ত অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) মাওলানা মাহমুদুল আলম নিজে স্বাক্ষর করে শিক্ষকতা পদ থেকে মামুনুল হককে অব্যহতি প্রদান করেন।
মানবিক কারণে বিয়ে করেছেন প্রসঙ্গে মতিউর রহমান তার ফেইসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, ঐ মহিলার কিশোর দুটি ছেলে আছে। বড়টা অনেক কিছু বুঝে। তাঁদের মাকে রক্ষিতা হিসেবে রেখে রিসোর্টে নিয়ে আটক হয়েছে মামুনুল। দুটো কিশোর ছেলে এখন জানে তাঁদের মা অন্য পুরুষকে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গেছে যা সারা দেশে ভাইরাল হয়ে গেছে। কী ট্রমার মধ্যে ছেলে দুটি আছে! এটা চিন্তা করে আমার খারাপ লাগছে। সমাজ ওদের ছিঃ ছিঃ দিচ্ছে। এগুলোর ধকল কিভাবে নিবে ঐ কিশোর দুটি? অন্যদিকে ঝর্নাকেও সামাজিক ভাবে অপমান-অপদস্ত করেছে মামুনুল, আর বলছে মানবিকতার কথা।

রোববার জাতীয় সংসদে দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব যে মহিলাকে নিয়ে অবস্থান করছিল সে পার্লারে কাজ করে। তাকে বউ হিসেবে পরিচয়ও দেয়। তিনি বলেন, একদিকে জ্বালাও পোড়াও করে তাণ্ডব করে, মুখে ধর্মের কথা বলে অন্যদিকে অপবিত্র কাজে লিপ্ত থাকে।

মামুনুল নিজের বউয়ের কাছে বলে যে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এটা বলে ফেলেছি। যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, এ রকম মিথ্যা কথা তারা বলতে পারে? যারা মিথ্যা বলতে পারে, তারা কী ধর্ম পালন করবে? মানুষকে কী ধর্ম শেখাবে?

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তদন্ত করে সবই জানানো হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিভিশনে ওই নারী স্বীকার করেছেন, তিনি তার স্ত্রী নন। এ বিষয়ে আরও ঘটনা জেনে সবাইকে জানাবো।

সংসদ অধিবেশনে আলোচনার পরপরই মামুনুল হক ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি, মন্ত্রীবর্গ এবং অন্য আরও অনেকে তাকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। তিনি এই কালিমা লেপনে অত্যন্ত মর্মাহত বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী না জেনে না বুঝে অসত্য তথ্যের উপর নির্ভর করে বক্তব্য দিয়েছেন। যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, আমি যদি মিথ্যা বলে থাকি তাহেলে আমি যেনো ধ্বংস হয়ে যাই। একই কথা নিজের বিরোধীতাকারীদের লাইভে এসে বলার আহ্বান জানান এই হেফাজত নেতা। তার দাবি, এমনটা করা না হলে তিনি সত্য বলছেন সেটি প্রমান হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা আমাকে নিয়ে যদি মিথ্যা প্রচারণা করে থাকেন, তবে তাদের উপর গজব পড়ুক, তারা নির্বংশ হয়ে যাক আর আমি যদি আমার ২য় স্ত্রী নিয়ে মিথ্যা বলে থাকি, আমার উপর যেনো আল্লাহর গজব পড়ে।

ফেইসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে গুণকীর্তন করায় গোলাম রাব্বানী নামে পুলিশের এক এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয় ৷

এদিকে মামুনুলসহ হেফাজতের ৫৪ নেতার সকল ব্যাংক হিসাব তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট।

৫ এপ্রিল ফেইসবুক লাইভে মামুনুলের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় ছেলে আব্দুর রহমান বলেন, অন্ধভক্ত হয়ে কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না, মামুনুল আলেম নামধারী মুখোশধারী একটা জানোয়ার। তার মধ্যে কোনও মনুষ্যত্ব নেই। নিজেকে কিছুটা সাবালক হিসেবে দাবি করে বলে, আমি কিছুটা সহ্য করে নিতে পারি, কিন্তু আমার তো, তের-চৌদ্দ বছর বয়সের ছোট ভাই আছে। ঘটনার পর থেকে ঘুমাতেও পারছেনা। এ ঘটনার জন্য নিজের বাবা শহিদুলের মামুনুলের প্রতি অন্ধবিশ্বাসকেও দায়ী করেন। শহীদুলের স্ত্রী থাকার সময়েই মামুনুল তার মাকে কুপ্রস্তাব দেয়ার কথা জানতে পারে। সাধারণ দাম্পত্য কলহকে পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছেদে পরিণত করে মামুনুল। হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হকের বিচার দাবি করেন তিনি।

একই দিনে মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান। সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলার পাশাপাশি দেশব্যাপী নৈরাজ্য তৈরির পরিকল্পনার এবং সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ ফেইসবুকে লিখেছেন, মামুনুল হক নিজে গাড়ি চালিয়ে রিসোর্টে যান। নিজের নাম ঠিকানা পরিচয়পত্র দিয়েই এন্ট্রি করান। স্ত্রীর নাম লেখান আমেনা তাইয়্যেবা। তার প্রকৃত স্ত্রীর নামে। যে কক্ষে তিনি ছিলেন তার ভাড়া ১০ হাজার টাকা, সঙ্গে ১৫% ভ্যাট ও ১০% সার্ভিস চার্জ। এই রিসোর্ট এত এক্সপেন্সিভ কেন? টাকা তো গেলইসঙ্গে মান-ইজ্জতও।

সোমবার দুপুরে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা জরুরি বৈঠক শেষে তারা মত দেন, ইসলামী শরিয়তের আলোকে মাওলানা মামুনুল হকের বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বিবিসি বাংলায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির বলেন, সরকার তার দলীয় লোকদের হেফাজতের নেতাদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। হেফাজত এবং ইসলামের পক্ষে যারা কথা বলছে তাদেরকে স্তব্ধ করার জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

কামরুল হাসান মামুন ফেইসবুকে লিখেছেন, নারায়ণগঞ্জের রিসোর্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ফোন কল রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার একটি হলো ঝর্না ও ছেলের মধ্যে। খুবই হৃদয়বিদারক সেই মা-ছেলের মধ্যে কথোপোকথন। মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে ঘটে যাওয়া তান্ডবের কারণে সমস্ত ফোকাস গিয়ে ঠেকেছে হক সাহেবের উপরে। তা নাহলে, এই নারীই হতেন সমস্ত ফোকাসের কেন্দ্রবিন্দু। তার চরিত্র নিয়ে তোলপাড় হতো। তার বিচারে মানুষ সোচ্চার হতো। তাকে সমাজচ্যুত করা, দোররা মারার দাবি উঠতো।

 

ad

পাঠকের মতামত