355929

রয়েল রিসোর্টে হামলা-ভাঙচুর; পুলিশের মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক

নিউজ ডেস্ক।। নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয়েছে।বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও রয়েল রিসোর্টে ভাংচুরের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও এক সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পর মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নাম্বার রুমে উঠেন। খবর পেয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির নেতৃত্বে একটি গ্রুপ রিসোর্টে যায়। ওই রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হককে তারা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ছে শত শত হেফাজতের লোকজন রয়েল রিসোর্টে ছুটে আসে। এবং ঘেরাও করে। এক পযায়ে প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে মামুনুল হক ও তার সাথে থাকা নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

হেফাজতের লোকজন ভ্যাপক ভাংচুর চালায় রিসোর্টের ভেতর। রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কর্মীদের ভাঙচুরের সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্নাসহ সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা।

মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়ার সময় হেফাজতের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা হাতে রিসোর্টে ভাংচুরের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এবং মুগড়াপাড়ায় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় হেফাজত কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ad

পাঠকের মতামত