355633

যা জানা জরুরি লকডাউনে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে

নিউজ ডেস্ক।। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত চলাচল ও কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন বিধিনিষেধগুলো বাস্তবায়ন করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল দেবে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া বিদেশগামী বা বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জরুরি সেবাকাজে (ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট) নিয়োজিত ব্যক্তিরা কাজ করবেন। তাদের নিয়ে পরিবহন চলাচল করতে পারবে।

সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আদালত শুধু জরুরি কাজ করবে। তাদের নিজস্ব পরিবহন চলবে। শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চলবে। শিল্পকারখানার শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল করতে হবে।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি কাজ (ওষুধ ও নিত্যপণ্য কেনা, দাফন, সৎকার) ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কেনা ও সরবরাহ করা যাবে। দোকানে বসে খাওয়া যাবে না। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। সেক্ষেত্রে কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।

কাঁচাবাজার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সীমিত পরিসরে ফিল্ড হাসপাতাল করবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ad

পাঠকের মতামত