355230

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থানায় আগুন, গুলিবিদ্ধ ২ জন নিহত

নিউজ ডেস্ক।। হেফাজতের ডাকা হরতাল পালনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় খাটিহাতা হাইওয়ে থানা ও দিয়ামনি সুপার মার্কেটের কয়েকটি দোকানে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলো- সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের অফি আলীর ছেলে আলামিন (১৬) ও সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে কালু মিয়া(২৪)। আলামিনের চাচা আশরাফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ রোববার ফজরের নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিশ্বরোড মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে। সকাল থেকে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে হরতাল পালন শুরু করেন তারা। বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সমাগম বাড়তে থাকে। তারা র‌্যাবের ওপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা খাটিহাতা হাইওয়ে থানায় আগুন ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. সাখাওয়াত হেসেনের বাসায় আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা পুলিশের জলকামানও ভাঙচুর করেন।

এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা থানা সংলগ্ন দিয়ামনি সুপার মার্কেটের দোকানগুলোতে আগুন দেয়। আগুনে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় শতাধিক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীদের গুলিবিদ্ধ দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহতদের পরিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বরোড দিয়ামনি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়া ও আজিম উদ্দিন জানান, থানা সংলগ্ন সাদিয়া টেলিকম, আজিম উদ্দিন পোল্টি ফিড ও ফ্রিজের দোকান আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুনে তিনটি দোকান পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের অন্যতম নেতা হযরত মাওলানা মুফতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এ আন্দোলন স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন, ইসলামের পক্ষের আন্দোলন। বায়তুল মোকারামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রসায় আক্রমণ চালিয়ে ছাত্রদের শহীদ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

 

ad

পাঠকের মতামত