355192

গত ৫ বছরে ৪৫ শতাংশ সম্পদ কমেছে মমতার

নিউজ ডেস্ক।। হলফনামা থেকে জানাগেছে ভারতের পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার কোনও গাড়ি, চাষের জমি নেই। নেই কোনও বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহৃত হওয়া জমিও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে সম্পত্তি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তা গত পাঁচ বছরে কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।

হিসেবে প্রায় ৪৫.০৮ শতাংশ সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে তৃণমূল নেত্রীর। নন্দীগ্রাম থেকে একুশের বিধানসভায় লড়াই করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় যে হলফনামা পেশ করেছে সেখানে দেখান হয়েছে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৩৫২ রুপি। পশ্চিমবাংলা রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে রয়েছে নন্দীগ্রাম।

তার আগে ‘অপরাধী, আর্থিক শিক্ষা, লিঙ্গ এবং প্রার্থীদের অন্যান্য বিবরণ বিশ্লেষণ’ অনুযায়ী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তি ছিল ৩০ লাভ ৪৫ হাজার ১৩ রুপি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

হলফনামা থেকে আরো জানা গিয়েছে, পৈতৃক সূত্রে কোনও সম্পত্তির মালিকও নন মমতা। ব্যাঙ্কে কোনও বকেয়া ঋণও নেই তার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে নগদ ৬৯ হাজার ৩৫৫ টাকা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূলের মমতা ভূঁইয়া এবং সুকুমার দে, যারা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরও মোট সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ৩৭.৫৩ শতাংশ এবং ৩৬.১৮ শতাংশ। তবে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৭৩৫.৯৫ শতাংশ।

যদিও ভোটের রাজনীতিতে মমতার বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে বলেছেন, বাংলায় তোষণ আর ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন ‘দিদি’। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বন্ধুগণ, আসুন আমরা সংকল্পবদ্ধ হই এবার আসল পরিবর্তন হবে। এবার গড়ব ‘সোনার বাংলা’। এবার নিশ্চয় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। বাংলায় আসল পরিবর্তন আনবে বিজেপি। বাংলার উন্নয়নের জন্য আসল পরিবর্তন হবে। দিদি (মমতা) কাটমানির খেলা চলবে না, দুর্নীতির খেলা চলবে না, তোলাবাজির খেলা চলবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন সোনার বাংলা গড়তে হলে যে সোনার মানুষ দরকার তার এক প্রতীকী উদাহরণ মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু মোদি বলছেন, কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল আগেই বাংলাকে বরবাদ করেছে। এদের নীতির জন্য বাংলায় দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হয়নি। যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিকীকরণের জন্য বিজেপির সরকার দরকার। ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ (কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি সরকার) হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক গ্রামে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার হলে এখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কার্যকর হবে। ছয় হাজার টাকা পৌঁছে যাবে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আপনারা নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় ভোট দিন, পদ্মফুলে ছাপ দিন। মোদি বলেন, পানির সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন বাঁকুড়ার মানুষ। দিদি ১০ বছর ধরে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে পানীয় জল কোথায়? নিকাশি ব্যবস্থা কোথায়? কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় তৃণমূল নেতাদের পকেট ভরেছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত।

 

ad

পাঠকের মতামত