354725

ছাত্রীকে কোপানোর ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি,পুলিশের অভিযান অব্যাহত

নিউজ ডেস্ক।। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের স্কুল ছাত্রীকে ঘুমন্ত কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এখন মামলা হয়নি। গোঠা সিলেট জুড়ে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনার ঝড় উঠলেও পরিবারে পক্ষ থেকে এখনও আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আহত মারজানা আক্তার (১৮) ঘটনার পর থেকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা দিন রয়েছেন।

এ দিকে স্থানীয় বানিয়াচং থানা পুলিশ প্রশাসন প্রকৃত অপরাধীদের বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতারের জন্য চিরনি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। তবে সিলেট ওসমানীতে চিকিৎসা দিন ছাত্রীর অভিভাবক মা’র কথাবার্তায় ইঙ্গিত পাওয়ায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে অনিহী।

পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে আহত ছাত্রীর পরিবারকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য,কিন্তু পরিবারের তেমন কোন আগ্রহ নেই বেলে জানা যায়। তারপর পরও পুলিশ রহস্য উধঘাটনের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিধি গ্রাম বাসীর কাছে প্রাথমিক ভাবে পরিস্কার হয়েছে সে দিন কারের ঘটনার অন্তরালে প্রেম ঘটিত বিষয় রয়েছে।

সূত্রে উল্লেখ্য যে, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের ঘুমন্ত স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করে থাকে দূর্বিত্তরা ১০ মার্চ বুধবার। গোঠা সিলেট জুড়ে চলে মিডিয়ায় আলোচনার ঝড়। লোক চোখে অন্তরালে ছিল ঘটনাকে ঘিরে নানা ধ্রুম জাল।

মারজানা আক্তার (১৮) স্থানীয় হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা মোস্তফা মিয়া মারা যাওয়ার পর জীবিকার তাগিদে তার মা অন্যত্র থাকনে। যে কারণে মারজানা একাই থাকত বাড়িতে। মারজানার মা মাধুমালা জানান, তার বড় মেয়ে ফারজানাকে তিন বছর আগে একই এলাকার কয়েক জন হত্যা করে। সেই হত্যা মামলার স্বাক্ষী ছিল ছোট মেয়ে মারজানা। আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিল। এ কারণেই মারজানার উপর হামলা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

পুলিশে প্রাথমিক ধারনায় বিষয়টি দেখা যাচ্ছে মূলত প্রেম ঘটিত কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর স্কুলছাত্রীর ঘর থেকে এক যুবকের কাপড়, জুতা, মোবাইল,মানি ব্যাগ ও কনডম উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে বাকি তথ্য অভিযুক্ত যুবকে গ্রেফতারের পর জানানো হবে।

এদিকে পুলিশ সোর্স বলছে, একাধিক যুবকের সাথে মারজানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে এক যুবকের সাথে সে রাত্রীযাপন করে। বিষয়টি জেনে অপর প্রেমিক তার উপর হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে হবিগেঞ্জর বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু ছাত্রীর উপর একটি ঘটনা ঘটেছে, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেক না দেক পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান রয়েছে অব্যাহত। শীঘ্রই আমরা গ্রেফতার করে আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ শামীম বলেন, ঘটনাটি শুনার পরই আমি পুলিশের সাথে পরিদর্শনে যাই। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ভিন্ন-ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার হলে বের হয়ে থলের বিড়াল ও ছাত্রী কুপানোর অন্তরালে কি ছিল।

 

ad

পাঠকের মতামত