354682

খালেদা জিয়ার আবেদনটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে খালেদা জিয়ার দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব।

প্রস্তাবটি দু-এক দিনের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে এলে সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতও প্রস্তাবের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাঁকে দেশের অভ্যন্তরে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেওয়ার শর্তে এ মুক্তি দেওয়া হবে। এই সময় দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত কারাগারে পাঠান। এর দুই বছরের বেশি সময় পর করোনা পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল গত বছর। পরে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়, যার সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ২৪ মার্চ। তার আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে আবার আবেদন করা হয়েছে।’

গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ওই আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে এ-সংক্রান্ত আবেদন করেন। আবেদনে সাজা মওকুফ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শর্ত শিথিল করারও আবেদন করা হয়েছে।

গত বছরের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে নিজ বাসভবন ফিরোজাতেই আছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তাঁকে বাড়ির ছাদ বা আঙিনায় কখনো দেখা যায়নি বলে জানা গেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই, বোন, কিংবা ভাইয়ের স্ত্রী আসেন দেখা করতে। এ ছাড়া আসেন চিকিৎসকেরা। দলীয় কোনো নেতা-কর্মীদের দেখা যায় না এখানে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চার-পাঁচজনের একটি মেডিকেল টিম রয়েছে। তাঁর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়মিতভাবে তত্ত্বাবধান করেন যে কজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক, তাঁদের একজন অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এক বছরে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। কারও সাহায্য ছাড়া চলাফেরা বা নিজের কোনো কাজই করতে পারেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের প্রদাহ, হৃদ্‌রোগসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে। উৎস: প্রথম আলো

 

ad

পাঠকের মতামত