354553

কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে রেলওয়ের বহুতল ভবনে আগুন, ৭ জনের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট।। আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, তাদের মধ্যে অন্তত ৩ জন দমকল কর্মী রয়েছেন। লিফটের মধ্যে তাদের দমবন্ধ হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে রেলের এক নিরাপত্তা কর্মীরও। এ ছাড়াও কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক জন দমকল কর্মী লিফটে উঠছিলেন। ১২ তলায় পৌঁছে তাঁরা লিফট থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন কিন্তু প্রচণ্ড তাপের ফলে তাঁরা ফিরে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু চার পাশের বিষাক্ত গ্যাসে তাঁরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন বলে খবর। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি বলেন, “৩ দমকল কর্মী, পুলিশ এবং আরপিএফের ১ জন করে কর্মী লিফ্টে ঢুকেছিলেন। উদ্ধারকারীরা সবাইকে বার করে আনার চেষ্টা করছেন।”

ভবনের কাছে আইসিইউ সুবিধা যুক্ত বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে ওই ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে আলোর ব্যবস্থার জন্য কয়েকটি জেনারেটর আনা হয়েছে।

১৪ তলা ভবনটির ১৩ তলায় প্রথমে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। ভবনের ১৩ তলাতে রেলের অফিস রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনের ১২ তলায়। সেখানে রেলের সার্ভার রুমটি ভস্মীভূত হয়েছে। এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের বুকিং ব্যবস্থা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের অন্তত ১৫টি ইঞ্জিন। এতটা উঁচুতে আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে যাওয়া হয়। আশপাশের ভবনে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে তার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে ওই ভবনে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই এলাকার মানুষ। স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু,পূর্ব রেলের কর্তারা, হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।

ad

পাঠকের মতামত