353783

কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের গুলি-লাঠিপেটা, আহত ৫০

নিউজ ডেস্ক।। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক সংবাদকর্মীসহ উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। সময় টিভি

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- চরফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, রুহুল আমিন, মেহরাব, বাপ্পী, কামাল পাটোয়ারী, শাওন, শামীম, দেলোয়ার হোসেন, মাস্টার, নসু, কামরুল হাসান, নুরুল অমিত, মাসুদ, কাঞ্চন, রায়হান, দেলোয়া, বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির’সহ অন্তত ৫০ জন। এদের মধ্যে সংবাদকর্মী বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির, নুরুল অমিত, ফরহাদ ও কাঞ্চন গুলিবিদ্ধ হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

এদিকে, সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে নিজের দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এতে অন্তত তার ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কোনো নেতাকর্মী মারা গেলে তার দায়-দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, নিজাম হাজারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিতে হবে বলে জানান মির্জা। পুলিশের সহযোগিতায় তার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ থেকে ১২ রাউন্ড টিয়াসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ ৩জনসহ গুরুত্বর আহত ৫জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়।
পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

 

ad

পাঠকের মতামত