353726

প্রাক্তন প্রেমিকের চেয়েও খারাপ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী!

নিউজ ডেস্ক।। মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্ম বলছে, মিয়ানমারের শাসক জান্তা প্রাক্তন প্রেমিকের চেয়েও খারাপ, মাছের তরকারির চেয়েও বেশি দুর্গন্ধময়, লাখ লাখ মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং একজন নারীর পিরিয়ডের ব্যথার চেয়েও বেদনাদায়ক

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা করে হংকং, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের রিটুইট ও কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্য এবং ছবিতে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

তারা বলছে, মিয়ানমারের শাসক জান্তা প্রাক্তন প্রেমিকের চেয়েও খারাপ, মাছের তরকারির চেয়েও বেশি দুর্গন্ধময়, লাখ লাখ মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং একজন নারীর পিরিয়ডের ব্যথার চেয়েও বেদনাদায়ক।”

সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে যখন সারা দেশের মানুষ রাস্তায় আন্দোলন করছে তখন মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্ম সামরিক বাহিনীর ব্যয় নিয়ে রসিকতা ছড়াচ্ছে এবং সামাজিক মাধ্যমে মজাদার এবং কটুক্তিপূর্ণ কথা বলে সবার নজর কাড়ছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে একজন বিক্ষোভকারী তার পোস্টারে লিখেছেন, “আমার প্রাক্তন খারাপ। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আরও খারাপ।”

অভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত নাগরিক নেতা অং সান সু চি-এর পরে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের বিরুদ্ধে এই তীব্র নিন্দার বিষয়টি বিশেষভাবে তীব্র আকার ধারণ করেছে।

কমান্ডার ইন চিফের ক্ষুদ্রতর আকারের কথা ব্যঙ্গভাবে বর্ণনা করে একটি হাতে লেখা কার্ডবোর্ডে একজন লিখেছেন, “আমাদের স্বপ্নগুলি এমএএল’র উচ্চতার চেয়ে বেশি।”

“মিন অং হ্লেইং আমি আপনাকে আমার পিরিয়ডের চেয়ে বেশি ঘৃণা করি,” আরেকজন গাড়ির কাঁচে লিখে রেখেছেন।

ইয়াঙ্গুনভিত্তিক ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী মিয়ানমারের আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এইচাইক হিটাইক অং বলেছেন, “এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সচেতনতা প্রচারণা মিয়ানমারের জন্য একটি নতুন, সৃজনশীল ধরণের প্রতিবাদ।”

তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “তরুণ প্রজন্ম ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রামে রয়েছে এবং এই মাধ্যমগুলো অন্যান্য তরুণদের একত্রিত করছে।”

৪৯ বছরের সামরিক শাসনের সময়কালের আগের প্রজন্মের বিপরীতে যেয়ে এই তরুণ বিক্ষোভকারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে একত্রিত হয়েছে।

সামাজিকমাধ্যম কেবল যে তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে তা নয়, বিক্ষোভ চলাকালীন কীভাবে নিরাপদ থাকতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে এবং হংকং ও থাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাথে মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের সংযুক্ত করেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন হ্যাশটাগ কিংবা ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশ্বের নানা প্রান্তে তাদের প্রতিবাদের কথা পৌঁছে যাচ্ছে।

এক দশক আগেও এসব ছিল চিন্তার বাইরে। ২০১১ সালে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক স্থানান্তর শুরু হওয়ার আগে সাইবার ক্যাফেগুলো শুধুমাত্র বড় শহরগুলোতে চালু ছিল। তবে স্কাইপ, জি-মেইল এবং ফেসবুক বিশৃঙখলা তৈরি করে-এমন কথা বলে সামরিক শাসনের আওতায় নিষিদ্ধ ছিল।

স্মার্টফোনের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বিস্ফোরিত হওয়া সত্ত্বেও, কেবল উত্তর কোরিয়ায় মিয়ানমারের চেয়ে কম মোবাইল ফোন ছিল, যেখানে একটি সিম কার্ডের মূল্য কয়েক হাজার ডলার ছিল। সূত্র- ঢাকা ট্রিবিউন

 

ad

পাঠকের মতামত