353446

ধর্ষণের বিচার জুতাপেটা : মূল অভিযুক্ত ও ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪

নিউজ ডেস্ক।। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে বিশটি জুতার বাড়ি দিয়েই গ্রাম্য সালিশে বিচার শেষ করা হয়। এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)সদস্য, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি, গ্রাম্য সালিশের মাতব্বর ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে আজ বিকেল ৪টার দিকে ওই গৃহবধূ জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধর্ষণে অভিযুক্ত উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের চরলাউখোলা বালিয়াকান্দি গ্রামের দুদু মিয়া (৪৫), ইউপি সদস্য জসিম সরদার (৩৫), মোকসেদ মাদবর (৫০) ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারী নয়ন মোড়ল (১৮)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুদু মিয়া ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন স্থানীয় ফরহাদ, নয়ন মোড়ল, রায়হান সিকদার, আবুল মোড়ল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় মোকসেদ মাদবরের বাড়িতে ভুক্তভোগী পরিবারের অনুপস্থিতিতে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে উপস্থিত মাতব্বররা ধর্ষণের সেই ভিডিও মোবাইল থেকে ডিলিট করতে ও ৫০টি জুতার বাড়ি মারার রায় ঘোষণা করেন। সেখানে ৩০টি মাফ করে দিয়ে ২০টি জুতার বাড়ি মারা হয় দুদু মিয়াকে। সালিশে ইউপি সদস্য জসিম সরদার, মোকসেদ মাদবরসহ স্থানীয় মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে দুদু মিয়াসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি দুদু মিয়া, জসিম সরদার, মোকসেদ মাদবর ও নয়ন মোড়লকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি)এসএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করলে জাজিরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু মণ্ডলসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আমি চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

 

 

ad

পাঠকের মতামত