352911

৫ লক্ষণেই বুঝা যাবে শরীরে ইমিউনিটি আছে কিনা

নিউজ ডেস্ক।। জন্মগতভাবে মানুষের শরীরে ইনেট ইমিউনিটি থাকে। প্রকৃতিতে বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে অর্জন করে অ্যাডাপ্টিড ইমিউনিটি। এটি আবার দুই প্রকার। ন্যাচারাল অ্যাকোয়ার্ড ও আর্টিফিসিয়ালি অ্যাকোয়ার্ড।

ইমিউনিটি যদি সক্রিয় থাকে তাহলে সারাজীবন সুরক্ষা দিতে পারে শরীরকে। মহামারি করোনা ভাইরাসকালীন পরিস্থিতিতে চারদিকেই পাওয়া যাচ্ছে ইমিউনিটি বুস্টার।

শরীরে থাকা ইমিউনিটি সক্রিয় হলে দেহকে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই তো করোনার সময়ে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে রাখা হচ্ছে ইমিউনিটি বর্ধক খাবার। প্রতিদিনই মানুষ বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সম্মুখীন হয়। রোগ প্রতিরোধে যেহেতু ইমিউনিটির ভূমিকা অপরিসীম তাই এ নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। শরীরে ইমিউনিটি কমে যাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে

অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। প্রায়ই এ নিয়ে সমস্যায় ভুগেন তারা। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে জ্বর, সর্দি-কাশিতেও ভুগতে হয় অনেকের। যদি কোনো খাবার খাওয়ার পর ত্বকে জ্বালা-পোড়া, চুলকানির মতো অস্বস্তি শুরু হয়, চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে এবং হঠাৎ করে পেটের সমস্যা হয় তাহলে বুঝতে হবে ছোট-খাটো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রাথমিক উপসর্গ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শরীরের কোনো অংশে যদি কেটে যায় বা আঁচড় লাগে এবং তা সারতে সময় বেশি লাগে বা সর্দি-কাশির মতো কোনো সমস্যা নিরাময় হতে সময় বেশি লেগে যায় তাহলে এসবও দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ। তবে ক্ষত সারার বিষয়টি অনেক সময় ডায়াবেটিসের জন্যও হতে পারে। এছাড়া যদি বারবার পেটের সমস্যা হতে থাকে যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে বা গ্যাস জনিত সমস্যা হয় তাহলে এটাও দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ। এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া জরুরি।

বেশিরভাগ সময় যদি অবসাদ, ক্লান্ত বা পর্যাপ্ত ঘুমের পরও ঘুমের অভাববোধ মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বোধয় সঠিকভাবে কাজ করছে না। পাশাপাশি সর্দি-কাশি ও জ্বরসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় প্রায়ই আক্রান্ত হতে থাকেন বা সুস্থ হতে সময় বেশি লাগে তাহলে সময় না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তা না হলে বড় কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

ad

পাঠকের মতামত