352663

ডাক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না

নিউজ ডেস্ক।।  হাইকোর্টের আগের আদেশের তথ্য গোপন করে জামিনের চেষ্টা চালালেও ধরা পড়লেন ডাকঘরের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার আসামি চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের সহকারি পোস্ট মাস্টার নুর মোহাম্মদ।

এ কারণে আগামী চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন আবেদন করা থেকে তাকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালত বলেন, জামিন প্রশ্নে একটি রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় আরেকটি রুল হাসিল করা আদালতের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। এত স্মার্ট ক্লায়েন্ট আমাদের প্রয়োজন নেই। এ ধরণের ঘটনা প্রায়শই আমাদের নজরে আসছে। এরপর তাকে আগামী ৪ মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন।

জানা যায়, ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গতবছর ২১ অক্টোবর নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় ওইবছরের ১৭ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেদিনই চট্টগ্রাম আদালতে জামিন আবেদন করেন নুর মোহাম্মদ। আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন নুর মোহাম্মদ।

কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ওইবছরের ১০ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এসময় তারপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ইফতাবুল কামাল। এই রুল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারাধীন। এ অবস্থায় আগের এই রুলের তথ্য গোপন করে একই হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন নুর মোহাম্মদ। এবারও আদালত গত ২১ জানুয়ারি জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন।

এদিন তারপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ এস এম মুক্তার কবির খান। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত বিষয়টি দেখে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। গতকাল আদালত আগে জারি করা দুটি রুলই খারিজ করে আদেশ দেন।

গতবছর ২৬ আগস্ট রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার জিপিও কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালায় ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার কর্মকর্তারা। এ অভিযানে গ্রাহকের প্রায় ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জিপিও সঞ্চয় শাখার পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সরওয়ার আলম খানকে আটক করা হয়। আটকের পর নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তাদের কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

 

ad

পাঠকের মতামত