352277

পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: গ্রেফতার ৫

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পরে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোল্লা গ্রামের আবদুল হোসেন মেকারের ছেলে জিয়া বাহিনী প্রকাশ জিহাদ (৩০), আদর্শ গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু তাহের (২৭), আবুল কালামের ছেলে নবীর উদ্দিন (৩২) ও মিয়াজী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)।

জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক গৃহবধূ (৩২) জনতা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ফারুক ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর দিকে টর্চলাইট মারে।

ওই গৃহবধূ ভয়ে দৌড়ে ওই চিকিৎসকের মুরগির খামারের সামনের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। এ সময় ওই পল্লী চিকিৎসকও ঘরের ভেতরে ছিলেন।

এমতাবস্থায় ফারুক তার লোকজন নিয়ে কক্ষটির বাহিরে তালা লাগিয়ে শোরচিৎকার করে আরও লোকজন জড়ো করে। কক্ষের ভেতরে থাকা ওই চিকিৎসক জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ফারুক, তার লোকজন ও স্থানীয়রা নারীসহ তাকে বাহিরে এনে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে মারধর করে একটি সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।

পরে খবর পেয়ে মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার জানান, এলাকার কিছু উশৃঙ্খল বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও একজন গৃহবধূকে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়।

বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে রোববার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পল্লী চিকিৎসক বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ তাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৫ জানুয়ারি জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্ট মাঝি ও ফারুক হোসেনকে আসামি করে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এ একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করছেন হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক।

 

ad

পাঠকের মতামত