352218

সংস্কৃতি রক্ষা করে আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র বানাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজে ডেস্ক।। ‘এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে যাতে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি থাকবে, আবার আন্তর্জাতিকভাবে সেগুলো যেন গ্রহণযোগ্যতা পায়।

এছাড়া লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, সেটিও যেন প্রতিফলিত হয়।’

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধের ওপর আরও সিনেমা নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তাই বিজয়ের ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন মনে রাখতে পারে, সেই ধরনের চলচ্চিত্র আরও নির্মাণ হওয়া দরকার।’

সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ, যত বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে যত কথাই বলি না কেন, নাটক-সিনেমা এর চেয়ে বেশি আবেদন রাখতে পারে।’ এসময় শিশুদের জন্যও সিনেমা নির্মাণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এসময় চলচিত্রের উন্নয়ন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল নির্মাণে সরকার এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী দিন ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে যে সকল সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো চালু করা যাবে।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৬টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করে জুরি বোর্ড। এর সঙ্গে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা এ বছর আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

১৯৭৬ সালের ৪ এপ্রিল প্রথম চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রথম চালু করা হয় আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

 

ad

পাঠকের মতামত