350486

বড়দিনেও বাংলাদেশের পর্যটক নেই, মনখারাপ মধ্য কলকাতার ব্যবসায়ীদের

ফাইল ফটোমনখারাপ করে মির্জা গালিব স্ট্রিটের প্রিন্স হোটেলের কাউন্টারে বসেছিলেন দুই মালিক সাহা বাবু আর সিংজি। মির্জা গালিব স্ট্রিটের এই রেস্তোরাঁটি বাংলা খাবারের জন্য বিখ্যাত দুই বাংলার মানুষের কাছেই। লকডাউন-এর আগে এই রেস্তোরাঁ ভরে থাকতো বাংলাদেশ আগত ট্যুরিস্টদের কলকাকলিতে। ডিশ ডিশ মোরগ পোলাও, সর্ষে ইলিশ, চিংড়ির মালাইকারি, কই এর পাতুরি নিদেনপক্ষে কচুর লতি উড়ে যেত নিমেষে।

আজ প্রিন্সের প্রায় মাছি তাড়ানোর অবস্থা। এই বঙ্গের ক্রেতারা আছেন, কিন্তু সংখ্যায় অনেক কম। সাহা বাবু ওপার বাংলার লোক। শুদ্ধ ঢাকাইয়া উচ্চারণে বললেন- ওরা আছিলো আমাগো লক্ষ্মী।

কি আর করুম। মারণ ব্যাধি….. একই অবস্থা কস্তুরী, রাঁধুনি প্রভৃতি রেস্তোরাঁর। দূর্গাপুজা গেল, ঈদ গেল, বড়দিনও কাছে।

টুরিস্ট ভিসার দরজা খোলেনি বলে বাংলাদেশের পর্যটকরা আসছেন না। প্রতি খৃস্টমাসে বাংলাদেশের পর্যটকরা আলো করে থাকেন মির্জা গালিব স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিটে। নামই হয়ে গেছে এলাকাটির লিটল বাংলাদেশ। আর সেখানে বাংলাদেশের পর্যটকই নেই। হোটেল, রেস্তোরাঁ ছাড়াও মানি এক্সচেঞ্জ শপ, শাড়ির আউটলেট, টুরিস্ট কেন্দ্র সব প্রায় শুনশান।

কলকাতা ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, এই অঞ্চলের দু’হাজার রুম-এর পঁয়ষট্টি থেকে সত্তর শতাংশই বাংলাদেশের পর্যটকে ভরা থাকে। তারা না থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য মাথায় উঠেছে। ভিসা দেয়ার ব্যাপারে আবেদন করেছিল ট্রেডার্স আসোসিয়েশন। তাদের এক মুখপাত্র জানালেন, এ ব্যাপারে রাজ্য দেখায় কেন্দ্রকে। সবটাই অরণ্যে রোদন হয়েছে। তাই, এই বড়দিনের মুখে ব্যবসায়ীদের মন খারাপ। তাদের আশা বড়দিনের কথা ভেবে হয়ত অস্থায়ী টুরিস্ট ভিসা দেয়া হবে।

মনখারাপ লিটল বাংলাদেশের ফ্যান্সি দোকানগুলিতে সাজানো সান্তা ক্লজ পুতুলগুলোরও। মুখে ভাষা থাকলে ওরা নির্ঘাত বলতো, তোমার দেখা নাইরে… তোমার দেখা নাই ! সূত্র: মানবজমিন

ad

পাঠকের মতামত