350312

ভারতে রহস্যময় রোগে ৬ শতাধিক আক্রান্ত: দুধে মিলল ‘নিকেল’

গত সপ্তাহে ভারতের কয়েশ’ মানুষ রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত হন। পরে ওই এলাকা থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনায় রাসায়নিক পদার্থ নিকেলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু শহরের ৬ শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে বমি বমি ভাব দেখা দেয়। অনেকের শরীরে খিঁচুনি উঠে। বেহুঁশ হয়ে পড়েন কেউ কেউ। রোগীর রক্তের নমুনায় অতিরিক্ত পরিমাণে সিসা এবং নিকেল পাওয়া যাায়। অসুস্থদের একজন ৭ ডিসেম্বর মারা যান।

একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়ে গত সপ্তাহে দু’জন মারা যান। যদিও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রহস্যময় রোগে মারা যায়নি। অন্য স্বাস্থ্য জটিলতায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএম) এক বিজ্ঞানী জানান, এলুরু শহর থেকে সংগ্রহ করা দুধের নমুনায় নিকেল পাওয়া গেছে।

আলজাজিরাকে এলুরু জেলা হাসপাতালের প্রধান আভর মোহন জানান, দুধের নমুনায় নিকেলের উপস্থিতি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। নমুনায় রাসায়নিকের এ পদার্থ থাকার কথা নয়। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের।

জেলা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সমন্বয়কের দায়িত্বেও রয়েছেন মোহন। তিনি বলেন, দুধের নমুনায় নিকেল কীভাবে এলো তা এখনো বিজ্ঞানীরা জানাননি। সম্ভবত কীটনাশক থেকে দুধে নিকেলে এসে থাকতে পারে।

বলেন, ঘাস থেকে বা অন্য যে কোনো খবার যা গবাদিপশু খেয়েছে, যাতে নিকেল ছিল, সেখান থেকেই দুধে রাসায়নিক পদার্থটি এসেছে।

বুধবার ভারতের গণমাধ্যম এআইআইএমএস, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল টেকনোলজি (আইআইসিটি) এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের বরাতে জানায়, রহসম্যয় রোগের পেছনে কীটনাশকের হাত রয়েছে।

গত সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, রোগীরে রক্তের নমুনায় অত্যধিক পরিমাণে সিসা এবং নিকেলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

কর্তৃপক্ষ এখনো সিসা কোথা থেকে এসেছে তার উৎস খুঁজছেন। মোহন বলেন, নমুনায় সীসা পাওয়া যায়নি, যা রোগীর রক্তে পাওয়া গেছে। সিসার উৎস আমাদের চিহ্নিত করতে হবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশনের (এনআইএন) কর্মকর্তারা ওই এলাকার মাংস, মুরগি, মাছ, চিংড়ি এবং শাকসবজি পরীক্ষা করেছেন। কিছু সবজিতে কীটনাশক পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভর্তি হওয়া রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রোববার পর্যন্ত নতুন কোনো রোগী ভর্তি হয়নি।

ad

পাঠকের মতামত