মা-মেয়ে কেউই বুঝতে পারেনি, কি কুড়িয়ে আনলেন, ঘরে আনতেই ঘটলো বিস্ফোরণ!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রান্নাঘরে অনেক সময় অসাবধানতার কারণে আগুন লেগে যায়। কিন্তু এবার ঘটলো ভিন্ন ঘটনা।রান্নাঘরেই বিস্ফোরণ হলো ৭৫ বছরের পুরানো গ্রেনেড। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকদিন আগে জডি ক্রিউ ও তার আট বছরের মেয়ে প্রায়ই সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যেতেন। এর মধ্যে একদিন সমুদ্রে সৈকতে তারা একটি পরিত্যক্ত জিনিস পড়ে থাকতে দেখেন।
জডি ভাবেন, সেটা হয়তো ফসিল বা কোনো প্রাণীর হাড় হবে। তারপর মা ও মেয়ে ওই জিনিসটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। জডি ফেসবুকে সেই জিনিসের ছবিও পোস্ট করেন। পোস্টে তার বন্ধুদের কাছে জানতে চান, এ জিনিসটা আসলে কী! পোস্টে কেউ বলেন, ওটা কোনো লুপ্তপ্রায় প্রাণীর হাড়। কেউ আবার বলেন, ওটা তিমি মাছের ফসিল। শুকিয়ে ওরকম আকার ধারণ করেছে।
তবে জিনিসটা যে আসলে কী, তা কেউই তখন বুঝতে পারছিলেন না। বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ির এক কোণে রাখা ছিল সেই জিনিস। প্রায় প্রতিদিনই জডি সেটার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করতেন। কিন্তু একবারও বুঝতে পারেননি যে সেই জিনিসটা আসলে একটা গ্রেনেড। তাও আবার ৭৫ বছরের পুরনো।
জডি বলেন, আমি কেন, কেউই বুঝতে পারেনি যে ওটা গ্রেনেড। আসলে আমরা যেমন গ্রেনেড দেখি, ওটার আকার সেরকম নয়। আমি ওটাকে রান্নাঘরের একপাশে রেখে দিয়ে আসি। তবে আমি ওটার সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এর মধ্যে একদিন আমার মেয়ে ছুটে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে আমাকে বলছে, মা ওই জিনিসটাতে আগুন ধরে গেছে। আমি রান্নাঘরে গিয়ে দেখলাম সত্যিই তাই হয়েছে।
জডি আরও বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি ওই জিনিসটকে হাতে করে তুলে রান্নাঘরের বেসিনে ফেলে দেই। তখনও ওটা জ্বলছিল। তারপর ওটার ওপর ভেজা টাওয়াল ছুড়ে দিই। কিন্তু এরপরই প্রবল বিস্ফারণে ফেটে যায় গ্রেনেডটি। আমরা রান্নাঘরে থাকলে হয়তো বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। বিস্ফারণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রান্নাঘরের এক পাশের দেওয়ালে আগুন ধরে যায়। আমি ততক্ষণে মেয়ে ও বাড়ির পোষ্যদের নিরাপদে রেখে আসি।
এই ঘটনার পরে বিস্ফারক ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়, ওই জিনিসটা আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি গ্রেনেড ছিল। কিন্তু ৭৫ বছরের পুরনো সেই গ্রেনেডে বিস্ফোরণ হলো কী করে, তা এখনও বুঝতে পারছি না বলে জানান জডি। সূত্র: জি নিউজ