350119

হোটেলে নিয়ে বিয়ে করে অস্বীকার প্রেমিকের, অতঃপর…

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হোটেলে নিয়ে বিয়ে করেন জিহাদ মিয়া। কিছুদিন পর এ বিয়ের কথা অস্বীকার করে জিহাদ। এর পর স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রেমিক স্বামীর বাড়িতে ৫ দিন ধরে অবস্থান করছে ওই স্কুলছাত্রী।

এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের মসূয়া মাঠপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মঞ্জিল মিয়ার বাড়িতে।

স্কুলছাত্রীর মা শান্তার কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে মসূয়া মাঠপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মঞ্জিল মিয়ার পুত্র জিহাদ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। গত ২ নভেম্বর তারিখে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা বাজারে একটি হোটেলে নিয়ে ৬ জন সাক্ষীর মোকাবেলায় তাকে বিবাহ করে। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

স্কুলছাত্রী তার স্বামীর সঙ্গে তাদের বাড়িতে যেতে চাইলে জিহাদ তাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জিহাদের পরিবারের লোকজন এ বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ওই ছাত্রী গত শুক্রবার সকালে জিহাদের বাড়িতে গিয়ে উঠে। মঙ্গলবার ৫ দিন যাবত জিহাদের বড় ভাইয়ের ঘরে অবস্থান করছে ওই তরুণী। শুক্রবার সকালে সে জিহাদের বাড়িতে আসার পর পরিবারের লোকজন অন্যত্র চলে যায়।

ওই ছাত্রী জানান, জিহাদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২ নভেম্বর তাকে মঠখোলা বাজারে নিয়ে বিয়ে করে। আমি তাদের বাড়িতে আসতে চাইলে আমাকে বাধা দেয়। স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আমি জিহাদের বাড়িতে অবস্থান করছি।

এ বিষয়ে জিহাদের মা লুৎফা আক্তার জানান, আমার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও তাদের বিয়ে হয়নি। গোপনে বিয়ে হলেও এ বিয়ে আমরা মেনে নিব না।

জিহাদ মোবাইল ফোনে মাফিয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান, আমি এখন বাড়ির বাহিরে রয়েছি।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল জানান, মসূয়া মাঠপাড়া গ্রামে নুরুল ইসলামের বাড়িতে এক স্কুলছাত্রী স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অবস্থান করছে বলে লোকমুখে জেনেছি। এ বিষয়ে মেয়েটির পক্ষ হতে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

ad

পাঠকের মতামত