349926

নির্বাচন কমিশনের তালিকায় ‘মৃত’ মনিরা চান ভোট দিতে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালোই আছেন ৬৩ বছর বয়স্ক মনিরা খাতুন চৌধুরী। সংসারও করছেন দিব্যি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যে ৮ বছর ধরে তাকে মৃত দেখানো হচ্ছে।

ফলে স্থানীয় নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনেই ভোট দিতে পারছেন না তিনি। এমনকি ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নাগরিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

মনিরা খাতুন চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলীর স্ত্রী। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৭৩৬১০৫২৩২৯২৩৭৫। তবে এবার তিনি আবেদন দিয়েছেন এটি ঠিক করতে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরউজ্জামান জানান, ২০১২ সালে কোনো কারণে ভুলক্রমে তার ডাটাবেজে মৃত লেখা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক ডাটা আপডেট করতে গিয়ে হয়তো যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা ভুল করেছেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে তিনি কখনও বলেননি। কোনো নির্বাচনে ভোটও দেননি।

তিনি বলেন, সে সময় আমি ছিলাম না। আমি আছি প্রায় ৪ বছর যাবত। এর মধ্যে যদি তিনি যোগাযোগ করতেন তবে অনেক আগেই তা ঠিক হয়ে যেত। এখন তার আবেদনটি ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট হয়ে গেলেই তা ঠিক হয়ে যাবে।

মনিরা খাতুনের ছেলে নাজমুল ইসলাম জানান, তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৭৩৬১০৫২৩২৯২৩৭৫। কার্ড নিয়ে গত দুটি নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে বলা হয় তালিকায় তার নাম নেই। ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলেও বলে তার কার্ড সঠিক নয়। মোবাইলের সিম কিনতে গেলেও বলে দেয়া যাবে না। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়- ডাটাবেজে ২০১২ সালে তার স্ট্যাটাসে মৃত লেখা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম আঞ্চলিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার সময় হয়ত ভুলবশত তার নাম আসেনি বা কর্তন করা হয়েছে। তাই পরবর্তী নতুন তালিকায় তার নাম সংযুক্তির অপেক্ষা করি কিন্তু পরেও তার নাম আসেনি। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

ad

পাঠকের মতামত