349904

রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি!

গত ১ ডিসেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুব্রামনিয়ন স্বামী।

এবার জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সোমবার এক টুইটবার্তায় এই সংসদ সদস্য লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন গণ মন’ গানটির মূল সংস্করণের পরিবর্তে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গৃহীত সংস্করণটি জাতীয় সংগীত করতে হবে। আইএনএর ‘জন গণ মন’ গানের সংস্করণটি অনেক বেশি দেশাত্মবোধক ও নির্ভুল। গণপরিষদে রাজেন্দ্র প্রসাদ ঘোষণা করেছিলেন যে, এর শব্দ সংশোধন করা যেতে পারে।’

এরআগে ২০১৬ সালেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জন গণ মন’ গানটি সম্পাদনার জন্য মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন স্বামী। ওই সময় চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, রাজা পঞ্চম জর্জের প্রশংসায় রবীন্দ্রনাথ এ গানটি লিখেছিলেন।

পঞ্চম জর্জ ছিলেন যুক্তরাজ্যের রাজা, ব্রিটিশ অধিপতি ও ভারতের সম্রাট। ১৯১০ সালের ৬ মে থেকে মৃত্যু (১৯৩৬) পর্যন্ত ছিল তার শাসনকাল।

এর আগেও রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখা নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিভিন্ন মহলে নানা সময়ে আপত্তির কথা শোনা গেছে। এমনকি মোদি ক্ষমতায় আসার পর সংঘের শিক্ষা সেলের নেতা দীননাথ বাত্রা এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দেওয়ার সুপারিশও করেছেন।

প্রবীণ বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়ন স্বামীর দাবি, শুধু তার নয়, ‘দেশের যুবসমাজের বড় অংশের মনের কথা’ বলছেন তিনি। তার আপত্তির অন্যতম শব্দটি হলো জাতীয় সঙ্গীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটির ব্যবহার।

স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সংগীতের কিছু কিছু শব্দ (সিন্ধু) অনাবশ্যক ধন্দ তৈরি করে। বিশেষ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে। রবীন্দ্রনাথের ‘জন গণ মন’-র শব্দ বদলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)-র গাওয়া ‘জন গণ মন’র আদলে লেখা অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় সংগীত ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পংক্তি ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ বদল প্রসঙ্গে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের একটি বক্তব্যের উল্লেখ করেছেন স্বামী। তা হলো, ১৯৪৯ সালে রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যেতে পারে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য প্রিন্ট, আনন্দবাজার

ad

পাঠকের মতামত