
এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান, পাইলটের ৬৪৮ বছর সাজা
২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এক পাইলটকে ৬৪৮ বছরের সাজা দিলেন দেশটির আদালত। সামরিক বাহিনীর সাবেক এই পাইলটকে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬শ ৪৮ বছরের রায় দিলেন তুর্কি আদালত।
সম্প্রতি এ রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর।
চার বছর আগে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের প্রয়াসের জন্য সদর দফতরের দায়িত্ব পালনকারী আকিনকি এয়ারবেসের অফিসারদের সম্প্রতি বিচারের মুখোমুখি করা হয়। রায়ে বেশ কজন বরখাস্ত সামরিক কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক পাইলট লেফটেন্যান্ট মোস্তফা ওজকান বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষকে অভ্যুত্থানে উস্কে দেন। আদালতের রায়ে আরো বলা হয়েছে, মোস্তফা ওসকান অভ্যুত্থানে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
আদালত জানান, ওসকান তুরস্কের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অভ্যুত্থানের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে রাজধানী আঙ্কারার পুলিশ সদর দফতরের ওপর দ্রুতগতিতে টহল দেন পাইলট ওসকান। একপর্যায়ে বিমান থেকে বোমা ছোড়েন তিনি। এতে দুইজন নিহত এবং আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। পরবর্তীতে হামলা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই রাতে অভ্যুত্থানের ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তিনি।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের অনুপস্থিতিতে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রয়াস চালায় বেশ কিছু বিপদগামী সামরিক কর্মকর্তা। কিন্তু এরদোয়ানের ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন জনতা। জনতা প্রতিহত করে অভ্যুত্থান। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
বিদ্রোহের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের পর্যায়ক্রমে শাস্তির আওতায় আনছে দেশটির সরকার।