348480

দুই কারণে ইরানে মার্কিন হামলায় সায় দেননি সৌদি যুবরাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি সৌদি আরবের নেয়োম শহরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে এক বৈঠক করেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ওই বৈঠকে ইরানে হামলা চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। কিন্তু ভয়ে এমন বিষয়ে অসম্মতি জানান সৌদি যুবরাজ। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

দুটি কারণে এই হামলার ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখান যুবরাজ মোহাম্মদ। প্রথমত সম্প্রতি সৌদির দুটি তেলক্ষেত্রে প্রক্সি যোদ্ধাদের দিয়ে হামলা চালিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইরান। আর দ্বিতীয়ত জো বাইডেন শপথ নেয়ার পর রিয়াদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেন তা ভেবেও ভীত ছিলেন তিনি।

সৌদির একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটিতে দুটি তেল স্থাপনায় হামলা ইরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা ছিল। কুদস ২ মিসাইল ব্যবহার করে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ওই দুটি হামলা চালায়। এর মধ্যে সবশেষ হামলাটি ছিল আরামকোর একটি প্লান্ট লক্ষ্য করে।

গত রোববার ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে মিডল ইস্ট আইকে নিশ্চিত করেছে সৌদির ওই সূত্রটি। বৈঠকে নেতানিয়াহু হামলার প্রস্তাব দিলেও পম্পেও কোনও মন্তব্য করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি জানায়, বৈঠকে ইরানে হামলার প্রস্তাব দেন নেতানিয়াহু। পম্পেও কারও পক্ষই অবলম্বন করেননি।
যদিও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ফ্যালিসিটিতে এখনও মার্কিন হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে রিয়াদ। কেননা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প ইরানে হামলার ব্যাপারে তার উপদেষ্টাদের কাছে মতামত চেয়েছিলেন বলে কিছুদিন আগে খবর প্রকাশিত হয়।

এছাড়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ড্যাকোটায় দুটি বি৫২ বোমারু বিমান, অন্যান্য যুদ্ধ এবং রিফুয়েলিং এয়ারক্রাফট ডামি গালফ অঞ্চলে যুদ্ধের মহড়া দেয়। এর মধ্যে দুই-তিনদিন আগে বাহরাইন ও কাতারে মার্কিন বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার।

ad

পাঠকের মতামত