348340

প্রাপ্ত বয়স্ক নারীরা যার সঙ্গে যেখানে খুশি থাকতে পারবে: দিল্লি হাইকোর্ট

এবার এক ঐতিহাসিক রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ‘লাভ জিহাদ’ সংক্রান্ত এক মামলায় ২০ বছরের এক নারীকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী যেখানে খুশি, যার সঙ্গে ইচ্ছা থাকতে পারে।

যেখানে ভারতের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ভিন্ন ধর্মের বিয়ে রুখতে আইন আনার কথা ভাবছে সেখানে এমন রায় সত্যিই ঐতিহাসিক। ভিন্ন ধর্মের বিয়ে রুখতে আইন করার ঘোষণার পর থেকেই জাতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গত মঙ্গলবার বিয়ের নামে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশও জারি করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই পরিস্থিতিতেই দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারকের বেঞ্চ এই রায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশিষ্টজনরা।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক বিপিন সাংঘি এবং রজনীশ ভাটনগর ২০ বছরের ওই নারী সুলেখাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী বাবলুর কাছে। সম্প্রতি সুলেখার পরিবারের লোকজন আদালতে পিটিশন দায়ের করে জানিয়েছিল, সুলেখা নাবালিকা এবং তাঁকে জোর করে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু আদালত সুলেখার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন, সুলেখা যখন বাড়ি থেকে পালিয়েছিল তখন তিনি সাবালিকা। এর পরই সুলেখাকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ‘লাভ জিহাদ’ সংক্রান্ত মামলার পরই এই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রিয়ঙ্কা খারওয়াড় নামে এক তরুণীকে গত বছর বিয়ে করেন সালামত আনসারি নামে এক ব্যক্তি। সালামতের শ্বশুরবাড়ির লোকের অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করেছেন সালামত। প্রিয়ঙ্কার পরিবারের অভিযোগ খারিজ করে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কে হিন্দু, কে মুসলিম তা নিয়ে আদালতের মাথাব্যথা নেই। বিষয়টিকে এ ভাবে না দেখে দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কে কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন, সেটা ওই দুই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।

সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

ad

পাঠকের মতামত