348230

শিবচর উপজেলা ভূমি অফিসে টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তার টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে, এটি ঘুষ লেনদেনের ভিডিও, না সরকারি কোনও কাজের ফিস, এটি এখনো পরিষ্কার নয়।

এক মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে শিবচর উপজেলা ভূমি অফিসের পেশকার লিটন বিশ্বাস এক হাজার টাকার একটি নোট নিচ্ছেন। তবে এটি কিসের টাকা এটি পরিষ্কার নয়। এদিকে খবির মোল্লা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষগ্রহণ করা হয়েছে বলে শোনা গেলেও তার কোনও অভিযোগ নেই বলে জানা গেছে।

লাইসেন্সপ্রত্যাশী খবির মোল্লা জানান, তিনি কোথায়ও কোনও অভিযোগ দেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটা স্থানীয় এক সাংবাদিক তার কাছ থেকে কৌশলে স্বাক্ষর করে নেওয়া, যা প্রত্যাহারও করা হয়েছে। এ ছাড়া লিটন বিশ্বাসকেও তিনি কোনো ঘুষ দেননি। এমনকি ভূমি অফিসের নাজির লিটন বিশ্বাস তার কাছে কোনো ঘুষ চায়নি। এটি পুরোটাই সাজানো।

লাইসেন্স পাওয়ার ব্যাপারে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারদের সঙ্গে কথা হয়েছে, দু-একদিনের মধ্যে লাইসেন্স পাওয়া যাবে। মূলত করোনার মধ্যে লাইসেন্সের আবেদন দিয়েছিলাম। আমি তিন মাস আগে অফিসে এসেছিলাম, এর মধ্যে আর কোনও খোঁজখবর নেয়নি। এ জন্য দেরি হয়েছে।

অভিযুক্ত লিটন বিশ্বাসের দাবি, তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এটি মূলত নামজারি খারিজের টাকা ১ হাজার ১৫০ টাকা এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছিলাম। আর, খবির মোল্লা নামে যার নাম বলে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেই ব্যক্তি আমাকে চিনেও না। তিনি এ ব্যাপারে কোথায়ও কোনও অভিযোগও দেননি। যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, সেই অভিযোগ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) তিনি প্রত্যাহারও করেছেন। তাহলে ভিডিওটিতে কার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অফিসে তো কত লোকজনই আসেন। কে কবে টাকা দিয়েছে এটি বলা কষ্টসাধ্য।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান বলেন, খবির মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বন বিভাগের একটি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। মূলত এটি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করার কথা। এমনকি এটি প্রদান করার এখতিয়ার জেলা প্রশাসকের। কিন্তু সরেজমিন পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট প্রদান করা হবে বলে তাকে জানানো হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদনকারীর কাছ থেকে কৌশলে স্বাক্ষর করে তার এক আত্মীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ঘুষ লেনদেন কথা বলে একটি অভিযোগ দেন। আসলে খবির মোল্লা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পরে তিনি এই অভিযোগ প্রত্যাহারও করেছেন।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, এটি ঘুষ লেনদেনের ভিডিও না অন্য কোনও ঘটনা এটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষী হলে কেউ ছাড় পাবেন না। সূত্র: সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত