347751

প্রেমের টানে ছুটে গিয়ে প্রেমিকার আত্মীয়দের বে’ধড়ক মা’রে হাসপাতালে প্রেমিক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সদ্য কলেজে ভরতি হওয়া প্রেমিক। সেটা যে জীবনের এত বড় অ’ভিশাপ হয়ে নেমে আসবে, ভাবতেই পারেনি কেউ। প্রেমিককে বে’ধড়ক মা’রধর করার অ’ভিযোগ উঠল প্রেমিকার ফুফাতো ভাই এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বি’রুদ্ধে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রেমিক প্রীতম দেবনাথ বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। শা’রীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে সে পাকর্সাকাসের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার মাটিকুমড়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আমকোলার প্রীতম দেবনাথের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাটিকুমড়ার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। অ’ভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেখা করার জন্য প্রেমিকাই ডেকেছিল প্রীতমকে। সে সেখানে গেলে প্রেমিকার ফুফাতো ভাইরা তাকে বে’ধড়ক মা’রধর করে। আ’শঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়ার দিন দুই পরও এই ঘটনার রেশ রয়েছে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের দু’রকম মত। প্রেমিক প্রীতমের আত্মীয়ের অ’ভিযোগ, প্রেমিকাই নাকি তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল দেখা করার জন্য। প্রীতম সেখানে যেতে তার উপর অতর্কিত হা’মলা হয়। বে’ধড়ক মা’রধরের ফলে তার নাক, মুখ, হাতে ব্যাপক আ’ঘাত লাগে। এর জন্য দায়ী প্রেমিকার দাদারা।

আবার প্রেমিকার পরিবারের পালটা দাবি, প্রীতমের সঙ্গে তাদের মেয়েরই এক বান্ধবীর সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে প্রীতম এই ছাত্রীকে নতুন করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তা প্রথমে খারিজ করেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। এরপর প্রীতম নিজেই জোর করে বৃহস্পতিবার রাতে কথা বলার জন্য তাদের বাড়ির সামনে দেখা করতে চায়। মেয়ে তাতে রাজি না হলেও, ছেলেটির জোরজবরদস্তিতে দেখা করতে রাজি হয়।

এরপরই ছাত্রীর আত্মীয়দের দাবি, তারা কেউ প্রীতমকে আ’ঘাত করেননি। কারণ, এধরনের ঘটনা ঘটানোর মা’নসিকতা তাদের নেই। তবে নবম শ্রেণির ছাত্রীর ফুফাতো ভাইদের বি’রুদ্ধে প্রীতমের মা গাইঘাটা থানায় লিখিত অ’ভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ছোট্টু মাঝি, মিলন মাঝি ও রাকেশ বৈরাগী নামে তিনজনকে গ্রে’প্তার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তাদের শনিবার বনগাঁ মহকুমা আ’দালতে পাঠানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত