347150

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০০ ভেন্টিলেটর দিল যুক্তরাষ্ট্র

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত অত্যাধুনিক ১০০ ভেন্টিলেটর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও ইউ.এস. এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ভেন্টিলেটরগুলো হস্তান্তর করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুদান অতিমারি মোকাবিলায় জরুরিভাবে সাড়া দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ সভায় অধিকতর নিরাপদ অর্থনীতির জন্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করার (স্ট্রেন্থদেনিং পাবলিক হেলথ কো-অপারেশন ফর এ সেফার ইকোনোমি) রূপরেখা বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেন্টিলেটরগুলো আমেরিকার অত্যাধুনিক ও সেরা প্রযুক্তির তৈরি। এগুলো আকারে ছোট ও পরিচালনা করা সহজ হওয়ায় ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি চিকিৎসা পেশাজীবিদের অনেক বেশি সুবিধা দেবে। ভেন্টিলেটরগুলো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইউএসএআইডি অনুদান হিসেবে শুধু যে ভেন্টিলেটরগুলো দিচ্ছে তা নয়, ভেন্টিলেটরগুলো স্থাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে সরঞ্জামসহ সহায়তা করা ও পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণও প্রদান করবে।

ভেন্টিলেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ অতিমারি বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন স্বাস্থ্য হুমকি তৈরি করেছে। শুধুমাত্র অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা মানুষের সুস্থ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারব। এই অনুদান কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার পরিপূরক এবং সঙ্কটের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নকে তুলে ধরেছে।’

এ অনুদান অতিমারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইতোমধ্যে দেয়া ৬৮.৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তার সাথে যুক্ত হলো, যার মাধ্যমে ইতোমেধ্যে বাংলাদেশি ল্যাবরেটরিগুলোর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার সামর্থ্য জোরদার করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্যযত্ন ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে, সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং এই রোগ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত