346629

বর্ষসেরা শব্দ ‘লকডাউন’

মহামারি করোনা ভাইরাসে কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন বদলে গেছে। মানুষ এখন নিউ নর্মাল লাইফের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে। নিউ নর্মাল লাইফে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এসেছে নতুন শব্দের ব্যবহার। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত ইংরেজি অভিধান কলিনস ডিকশনারিতে বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে স্থান ‘লকডাউন’।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) কলিনস ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কলিনস ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছে লকডাউন। যদিও তারা বলছে ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ অর্থাৎ লকডাউনের আভিধানিক অর্থ হলো, ‘ভ্রমণ, সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং জনসমাগমস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ই-সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ও একে অপরের কথা বলার মধ্যে ব্যবহৃত শব্দ থেকে একটি হিসাব করেছে কলিনস ডিকশনারি। সেই হিসাব অনুসারে গত বছরের তুলনায় এ বছর লকডাউনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হাজার শতাংশ।

অন্যদিকে, বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এর বিপরীতে বলা হয়েছে যে লকডাউন শব্দটি আড়াই লাখবার ব্যবহারের রেকর্ড গড়েছে।

কলিনস ডিকশনারির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হারপার কলিনস জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে শত কোটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তারই একটি সামগ্রিক প্রতিফলন হলো এটি।

শুধু লকডাউনই এবার ব্যবহার করা হয়েছে, এমনটা নয়। বহুল ব্যবহৃত ১০টি শব্দের মধ্যে ৬টি শব্দ এই মহামারি সংক্রান্ত। লকডাউন ছাড়াও বাকি পাঁচটি হলো- ‘করোনাভাইরাস’, ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ (সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা), ‘সেলফ আইসোলেশন’ (নিজ উদ্যোগে একা থাকা), ‘ফোরল’ (ছুটিতে থাকার অনুমতি), ‘কি ওয়ার্কার’ (মহামারির সময় কর্মরত গুরুত্বপূর্ণ খাতে কর্মীরা)।

কলিনস জানিয়েছে, করোনায় ‘কি ওয়ার্কার’ শব্দটির ব্যবহার ৬০ গুণ বেড়েছে। সমাজে এমন কর্মীদের গুরুত্ব যে বেড়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে এসব শব্দ ব্যবহার থেকে।

কলিনসের ভাষাবিষয়ক পরামর্শক হেলেন নিউস্টেড বলেন, এই বছর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারি। কারণ, সব ক্ষেত্রে এই মহামারির প্রভাব পড়েছে। ফলে এসব শব্দের ব্যবহার বেড়েছে অনেকাংশে।

ad

পাঠকের মতামত