346482

নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় দাবি সু চির দলের

মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছেন অং সান সু চি। বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে ভোট গণনা চলছিল। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দাবি করে, তারা ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে। নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সের।

২০১১ সালে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার শাসন শেষ হওয়ার পর রোববার সেখানে দ্বিতীয় জাতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখ লাখ মানুষ ভোট দেন। গত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পান অং সান সুচি। এরপরই তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে ক্ষমতার অংশীদার হন।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডি জানায়, পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য পার্লামেন্টের বেশির ভাগ আসনে জয় পেয়েছে তারা। এনএলডির মুখপাত্র মিও নিন্ত রয়টার্সকে জানান, দেশটির নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা না করলেও অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সু চির দল ৩২২ আসনে জয় পেয়েছে।

মিও নিন্ত বলেন, আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। জনগণের জন্য, দলের জন্য এটি উৎসাহজনক নির্বাচনী ফল। মিয়ানমারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪২৫ ও উচ্চকক্ষে ১৬১ আসন রয়েছে। ৫০ বছরের বেশি সময়ের সেনাশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ২০১৫ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সু চির এনএলডি ভূমিধস জয় পায়।

ওই বছর দলটি সংসদের মোট ৩৯০ আসনে বিজয়ী হয়। এবার সেই সংখ্যাও ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে বলে জানান মিও নিন্ত। একসময় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে খ্যাতি অর্জন করা সু চি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েন। কিন্তু মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে তিনি এখনও জনপ্রিয়।

সু চির দল এনএলডি এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছে বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। তিনি জনগণকে করোনার ভয় না করে ব্যাপকভাবে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

দেশটিতে রোববার সূর্য ওঠার আগেই অনেকে ভোট দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যান। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অনেকে ভোট দিয়েছেন। মিয়ানমারে ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও মানুষ ভোট দিতে বের হয়েছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত