স্ত্রী-মেয়েকে হারিয়ে রাজনীতিই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বাইডেন
স্কুলজীবনেই নেতৃত্বগুণ অর্জন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সহপাঠীরা এককথায় তাকে অনুসরণ করত। আর সে কারণে প্রতি বছর ‘ক্লাস ক্যাপ্টেনের’ দায়িত্বটা তার ওপরই বর্তাত। তার জীবনে বহু চড়াই-উতরাই এসেছে। সেগুলো পেরিয়ে আজ তিনি হোয়াইট হাউসের অধিপতি।
বাইডেনের জীবনী থেকে জানা গেছে, ‘৭০-এর দশকে তার জীবনে ঘটে যায় এক বিয়োগান্তুক ঘটনা। সেবার এক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও সন্তানকে হারান জো।
শিক্ষাবিদ নেইলিয়া হান্টারকে ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেছিলেন বাইডেন। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ট্রি কিনতে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন নেইলিয়া। সঙ্গে ছিল তাদের তিন সন্তান। পথে ট্রাকের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নেইলিয়া ও ছোট্ট নাওমি।
নেইলিয়া ও নাওমির মৃত্যুর পরে জীবন থেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন বাইডেন। রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়াবেন বলে ভেবেছিলেন। বাইডেন ১৯৭২ সালে প্রথম অংশ নেন সিনেটর হওয়ার লড়াইয়ে। প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্য ধরা দেয়। ১৯৭২ সালেই তিনি ডেলাওয়্যার থেকে জুনিয়র সিনেটর হন।
তবে প্রথমবার সিনেটর হিসেবে তাকে শপথ নিতে হয়েছিল শোকবিধ্বস্ত অবস্থায়। সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও মেয়েকে হারানোর শোক নিয়েই শপথ নিতে হয় তাকে। এ সময় বাইডেন রাজনীতিই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাকে আবার জীবনের পথে ফিরিয়ে আনেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী জিল ট্রেসি জ্যাকবস।
জিল ছিলেন বাইডেনের ভাইয়ের কলেজের সহপাঠী। ভাইয়ের মাধ্যমেই জিলের সঙ্গে বাইডেনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের এখন তিন সন্তান।
দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনে ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ অবধি বাইডেন ছিলেন ডেলাওয়্যারের ডেমোক্র্যাট সিনেটর। এর পর ২০০৯ থেকে ২০১৭ অবধি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই দফার মেয়াদে বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।