346348

বাইডেনের আমলে যেমন হবে চীন-মার্কিন সম্পর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের জয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীন। এই প্রসঙ্গ আসলেই ওঠে ‘উইন উইন’ পরিস্থিতির কথা। ‘হাতে হাত রেখে’ ভাইরাসবিরোধী লড়াই কিংবা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রসঙ্গও। আর এমন যদি না হয় তাহলে হয়তো হবে নতুন কোনো ভাষায়, নতুন কোনো ইঙ্গিতে।

তবে বাইডেনের অধীনে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠলে ইতিবাচক চিন্তাটাই অর্থাৎ সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার আভাসই পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম যে বিষয়টা আসে সেটা হলো বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মারাত্মক লড়াইয়ের অবসান। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেউ ‘চায়না ভাইরাস’ নিয়েও হয়তো আলোচনা তুলবে না।

তবে খুব সহজে আচমকাই যে সব দৃশ্যপট পাল্ট উল্লেখ করার মতো পরিবর্তন হবে এমনটাও চিন্তা করার কারণ নেই। বিবিসি এ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে মার্কিন এক শীর্ষ কূটনীতিক ব্যক্তিগতভাবেও বিবিসিকে এমন কথাই নিশ্চিত করেছেন।

বাইডেনও বলেছেন, চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে চীনা পণ্য আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে কি করা যায় এ নিয়ে তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যহারের প্রতিশ্রুতি দেননি।

নির্বাচনের আগে সিনিয়র উপদেষ্টাদের মধ্যে এই আলোচনা হয়েছিল যে, ডেমোক্র্যাটদলীয় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুর ওপর চীনা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

চীনের আঞ্চলিক আধিপত্যের বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য বাইডেন প্রশাসন চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দৃঢ় করার জন্য ওই অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো মিত্র দেশগুলো ছাড়াও অন্যদের নিয়ে এশিয়ায় তাদের জোট পুনর্গঠন বা ভিন্ন উপায়ে কাজ করার চেষ্টা করবে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ক্ষমতাচ্যুত হওয়াটা চীনের পক্ষে ভালো নয়। কেননা বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমশ ক্ষমতা হারানো পরাশক্তি হচ্ছে এমন এমন এক নেতার নেতৃত্বে যিনি (ট্রাম্প) গণতান্ত্রিক পথ-প্রক্রিয়া রুদ্ধ করে রেখেছেন। এটা প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েই নিজেদের পরাশক্তি হিসেবে শীর্ষে আসার বিকল্প ভাবছে চীন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যে বিষয়টি নিয়ে মনযোগী হয়ে উঠবে তা হলো বাণিজ্য যুদ্ধ। তবে ভবিষ্যত মার্কিন চীন সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ যে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তা হলো করোনাভাইরাস।

চীন হয়তো প্রত্যাশা করবে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) যোগ দেবে। তবে এটা করতে রাজিও হলেও এর পরিবর্তে এই ভাইরাস কবে ও কোথায় থেকে প্রাদুর্ভাব ছড়ালো এবং কীভাবে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো; এ বিষয়ে স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে হয়তো চীনকে আরও চাপ দেবে বাইডেন প্রশাসন।

ad

পাঠকের মতামত