346370

আর্মেনিয়া থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর উদ্ধার আজারবাইজানের

নার্গোনো-কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর শুশা আর্মেনিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে আজারবাইজান। রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আজারবাইজানের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আর্মেনিয়া।

আজারবাইজানের দাবি সত্য হলে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বাকুর বিশাল কৌশলগত বিজয় এটি। এদিন টেলিভিশেন প্রচার হওয়া ভাষণে আলিয়েভ বলেন, অত্যন্ত আনন্দ এবং গর্বের সঙ্গে দেশবাসীকে জানাচ্ছি, শুশা শহর আমরা স্বাধীন করেছি।

আর্মেনিয়ার সরকারি সূত্র জানিয়েছে, শুশায় দুপক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। আলিয়েভ বলেন, ৮ নভেম্বর আমাদের ইতিহাসে লেখা থাকবে। দিনটিতে আমরা শুশায় পুনরায় ফিরেছিলাম।

জয় উদযাপন করতে রাজধানী বাকুতে হাজারো মানুষ সমাবেত হন। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, স্লোগান দিয়ে, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে জয়োৎসব করেন তারা।

শুশা শহর বিজয়ে আজারবাইজানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, শুশা পুনরুদ্ধারের অর্থ হলো বাকি যে এলাকাগুলো আর্মেনিয়ার দখলে আছে সেগুলোও জয়ের দ্বারপ্রান্তে।

২৭ সেপ্টেম্বর আজারবাইজানের বসতি এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। তারপর দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু একবারও তা রক্ষা করেনি আর্মেনিয়া। কার্যকরের কিছুক্ষণের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করে ইয়েরেভান। হতাহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ।

নার্গোনো কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়ার সহায়তায় দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নার্গোনো কারাবাখ দখলে নেয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের আহ্বান সত্ত্বেও নার্গোনো কারাবাখ থেকে সরে যায়নি আর্মেনিয়া।

সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। আজারবাইজানের আত্মরক্ষাকে সমর্থন জানিয়েছে বাকুর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।

ad

পাঠকের মতামত