345863

খা’লাস চেয়ে মিন্নির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ, জরিমানা স্থগিত

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হ’ত্যা মা’মলায় খা’লাস চেয়ে মৃ’ত্যুদণ্ডপ্রা’প্ত আ’সামি নি’হতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রায়ে জরিমানা করে দেওয়া অর্থদ’ণ্ড স্থগিত করেছেন আ’দালত।

বুধবার (৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বি’চারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আ’দালতে আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান মিন্নির আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। তিনি বলেন, মিন্নির পক্ষে খা’লাস চেয়ে আজ আপিল কোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন এবং বিচা’রিক আ’দালতের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা অর্থ’দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। অপর এক আসা’মি মোহাইমেন ইসলাম সিফাতের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে রিফাত হ’ত্যার রায়ে দ’ণ্ড পাওয়া তিন আ’সামির বিষয়েও গত ১৩ অক্টোবর একই আদেশ দেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। ওই তিন আ’সামি হলেন আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান এবং মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়। মৃত্যুদ’ণ্ডপ্রা’প্ত অপর আ’সামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আপিল করার তথ্য জানা গেলেও কোনো আদেশ হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

নিয়ম অনুযায়ী, এ মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বি’চারপতি মা’মলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করেন। তখন এ মা’মলার আপিল শুনানি শুরু হবে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলোচিত রিফাত শরীফ হ’ত্যা মা’মলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আ’সামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ বি’চারক মো. আছাদুজ্জামানের আ’দালত। রায়ে নি’হত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জন অ’ভিযুক্তকে ফাঁ’সির আদেশ দেন আ’দালত। এছাড়া বেকসুর খা’লাস দেওয়া হয় এ মা’মলার অপর চার আ’সামিকে। বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কা’রাগারে রাখা হয়েছে মিন্নিকে।

মৃত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত আ’সামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পেয়েছেন-মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।

গত ৪ অক্টোবর ছয় আ’সামির মৃত্যুদ’ণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসা’মিরা আপিল করেন।

আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আ’দালত যখন আ’সামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বি’চারিক ‘আ’দালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মা’মলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মা’মলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মা’মলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। তবে কোনো কোনো মা’মলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত