345815

রাশিয়া-চীন সামরিক জোট হচ্ছে না!

শীর্ষ রুশ পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলগতবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছেন যে মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্ভাবনাময় সামরিক জোট ভারত রাশিয়ার মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী অংশীদারিত্বের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কাজেই এ ধরনের জোট অবাস্তব।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি আভাস দিয়েছিলেন যে মস্কো ও চীনের মধ্যে একট সামরিক জোট হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এর প্রয়োজন নেই।

কার্নেগি মস্কো সেন্টারের পরিচালক দিমিত্রি ত্রেনিন বলেন, চীনের সাথে আনুষ্ঠানিক সামরিক জোট রাশিয়ার জন্য হবে অবাস্তব। এটি রাশিয়ার হাত বেঁধে ফেলবে এবং ভারতসহ রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী অংশীদারদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় যেতে বাধ্য করবে।

ইন্টার তাসে দিমিত্রি বরেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের সাথে আনুষ্ঠানিক সামরিক জোটের দরকার নেই রাশিয়ার। এ ধরনের ইউনিয়ন উভয়পক্ষের হাত বেঁধে ফেলবে, প্রতিবেশীদেরকে, বিশেষ করে ভারতকে, সন্ত্রস্ত্র করে রাশিয়অর সাথে অংশীদারিত্ব ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করবে।

অধিকন্তু, আনুষ্ঠানিক জোট মিত্র কাঠামোতে ক্রমপরম্পরার প্রশ্ন সৃষ্টি করবে। দিমিত্রির মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি একইসাথে রাশিয়া ও চীন উভয়ের ওপর হামলা চালায়, তবেই কেবল মস্কো ও বেইজিংয়েরমধ্যে সামরিজ জোট গড়ে ওঠতে পারে।

তিনি বলেন, এমন অনুমান করা সম্ভব যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন চালালে রাশিয়াকে চীন রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করলেও যুদ্ধে অংশ নিতে বিরত থাকবে চীন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সামরিক সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রেও সম্ভবত আমাদের প্রতিক্রিয়াও এমন হবে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই সম্পর্ক কেবল ক্রেতা-বিক্রেতার নয়, বরং অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস যৌথভাবে উৎপাদনেও রয়েছে। তাছাড়া পরমাণু সাবমেরিন সরবরাহ ও জঙ্গিবিমান উৎপাদনের লাইসেন্সও ভারতকে দিয়েছে রাশিয়া।রাশিয়া বর্তমানে ভারতের প্রতিরক্ষা চাহিদর ৬০-৭০ ভাগ পূরণ করে থাকে।

সূত্র : ইকোনমিক টাইমস

ad

পাঠকের মতামত