সর্বোচ্চ ভোট পেলেও প্রেসিডেন্ট হওয়া অনিশ্চিত ট্রাম্প-বাইডেনের!
যুক্তরাষ্ট্রে জনগণের সর্বোচ্ছ ভোট পেলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে মোট ৫৩৮ জন ‘ইলেক্টর’ বা নির্বাচকের ভোটের ওপর। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে এ সব নির্বাচকের সংখ্যা নির্ধারিত হয়ে থাকে। মোট ৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে জিততে হলে প্রয়োজন ন্যূনতম ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট। একটি অঙ্গরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ‘জনপ্রিয় ভোট’ যিনি পাবেন, সে রাজ্যের নির্ধারিত সব ইলেক্টোরাল ভোট তার খাতায়ই জমা হবে। এ কারণে জনগণের মোট ভোটের হিসাবে এগিয়ে থেকেও কোনো প্রার্থী পর্যাপ্ত ইলেক্টোরাল ভোট পেতে ব্যর্থ হলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন না।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোলে মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনের বিষয়টি অনেকটা চাপা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতোই এ দুটি ভোটও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন আইনসভার উভয় কক্ষে কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। প্রেসিডেন্ট যিনিই হোন না কেন, তার দল প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলে তিনি অনেক কিছুই করতে পারেন না।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ৪৩৫ ও উচ্চকক্ষ সিনেটে ১০০ আসন রয়েছে। এ বছর প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টির সবগুলো আসনে এবং সিনেটের ৩৫টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এবার যে সিনেট আসনগুলোয় নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে ২৩টিতেই রয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটর। আর ১২টিতে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। সিনেটের ভোটে ডেমোক্র্যাটদের আসার সম্ভাবনা প্রবল।
বর্তমানে সিনেটে রিপবালিকানদের ৫৩ আর ডেমোক্র্যাটদের আসন ৪৭টি। ফলে রিপাবলিকানদের লক্ষ্য সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা। আর ডেমোক্র্যাটরা চাইছে নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে। এ লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাটদের রিপাবলিকানদের থেকে চারটি আসন ছিনিয়ে নিতে হবে।
অবশ্য বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে তিনটি রিপাবলিকান আসনে জয় পেলেই ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘টাইব্রেকার’ ক্ষমতার বদৌলতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের কোনো আসন হারালে চলবে না। বড়জোর দুটি আসন হাতছাড়া করার ধকল নিতে পারে তারা।