344742

প’রকীয়ায় মাকে বিয়ে, খু’ন কুমিল্লায়, লা’শ চট্টগ্রামে

এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে উ’দ্ধার হওয়া গলায় গামছা পেঁ’চানো ও পায়ের র’গ কা’টা ম’র’দেহটি ছিল নবী হোসেন নামের এক ব্যক্তির। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের পুরানচর এলাকার বাসিন্দা। প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প’রকীয়ায় জড়িয়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।

আর সেটি মেনে নিতে পারেনি ওই প্রবাসীর ছেলে সাব্বির। সাব্বির ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভা’ড়াটে খু’নি দিয়ে খু’ন করায় নবী হোসেনকে। এ ঘটনায় আশিক ও সুমন নামে দু’জনকে গ্রে’ফতার করে আ’দালতে সোপর্দ করলে আদা’লত তিন দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, পিবিআই স্ব-প্রণোদিত হয়ে নবী হোসেন হ’ত্যা মা’মলার তদন্তভার গ্রহণ করে। আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে কিশোরগঞ্জ থেকে সুমন ও নরসিংদী থেকে আশিককে গ্রে’ফতার করি। পাশাপাশি হ’ত্যাকা’ণ্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উ’দ্ধার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিক ও সুমন এই হ’ত্যাকা’ণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মূলত প’রকীয়ার বলি হলেন নবী হোসেন। খু’ন হওয়ার আগে তিনি তার প্রতিবেশী প্রবাসী এক ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। আর সেটি মেনে নিতে পারেননি প্রবাসীর ছেলে সাব্বির। সাব্বির ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুষার নামের এক ভা’ড়াটে খু’নিকে দিয়ে দুইদিনের প্রচেষ্টায় নবী হোসেনকে খু’ন করায়। খু’নের দুই দিন আগে তারা নবী হোসনকে মাইক্রোতে তুলতে চেয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে ১৭ অক্টোবর ভৈরব থেকে নবী হোসেনকে অ’পহরণ করে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে আসার পথে কুমিল্লায় মহাসড়কে মুখে গামছা বেঁ’ধে গ’লা টি’পে হ’ত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য নবী হোসেনের পায়ের র’গও কে’টে দেয়া হয়। ম’রদে’হটি গাড়িতে পায়ের নিচে রেখে দিয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিখাইন এলাকায় ফেলে তারা কক্সবাজার বেড়াতে যান। কক্সবাজার বেড়িয়ে সবাই আ’ত্মগোপনে চলে গেছেন। আমরা দু’জনকে আ’টক করেছি।

আ’টককৃতদের আদালতে তিন দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর হয়েছে জানিয়ে এসপি নাজমুল হাসান বলেন, রোববার আমরা আশিক ও সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আ’দালতে সাত দিনের রি’মান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত তিনদিনের রি’মান্ড আদেশ দিয়েছেন। এই দুই জনের রি’মান্ড চলবে। সাব্বির ও তুষারকে গ্রে’ফতারে আমাদের টিম কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিখাইন এলাকা রাস্তার পাশ থেকে নি’হত নবী হোসেনের ম’রদে’হ উদ্ধার করে পটিয়া থানা পুলিশ। ম’রদে’হ উদ্ধারের পর নবী হোসেনের ভাই চট্টগ্রামে ম’রদে’হ শ’নাক্ত করেন এবং পটিয়া থানায় পাঁচজনকে আ’সামি করে মা’মলা দায়ের করেন। পিবিআই স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই হ’ত্যা মা’মলার তদন্তভার গ্রহণ করে এক সপ্তাহের মাথায় হ’ত্যাকাণ্ডে’র রহ’স্য উদঘাটন করেন।

সূত্র : চট্টগ্রাম প্রতিদিন।

ad

পাঠকের মতামত