344659

যুবতী কক্ষ থেকে বের হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় বিয়ে না হওয়ার বান ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে পানি পড়া দিয়ে এক পোশাক শ্রমিক যুবতীকে ধর্ষ’ণের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে কবিরাজ পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তির বি’রুদ্ধে। এ ঘটনায় ধ’র্ষণের শি’কার ওই পোশাক শ্রমিক শ্রীপুর থানায় বাদী হয়ে কবিরাজকে আ’সামি করে মাম’লা করেছেন।

থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পোশাক শ্রমিক ওই যুবতী স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। প্রায় আড়াই মাস আগে তিনি নয়নপুর এলাকার মো. নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। একই বাড়িতে আবুল হাশেমও পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। সেই সুবাদের তাদের সঙ্গে পরিচয় হয়।

আবুল হাশেম নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দেয় তার কাছে। গত ২০ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে কথা আছে বলে তাকে (যুবতী) আবুল হাসেম তার ঘরে ডেকে নেন। পরে তিনি বলেন, কে বা কারা তাকে (যুবতীকে) “বান” মে’রেছে। তাই তার বিয়ের কোনো প্রস্তাব আসে না। এজন্য একটি গ্লাসে পানি নিয়ে এসে তিনি যুবতীকে পান করতে বলেন। পরে তিনি তা সরল বিশ্বাসে পান করে নিজ কক্ষে চলে যান।

পানি পান করার পর তার শা’রীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। প্রায় ৫/৬ মিনিট পর আবুল হাশেম তাকে রুম থেকে ডেকে পাশের খালি রুমে নিয়ে যান এবং কিছু বুঝে উঠার আগে দরজা আ’টকে ভ’য়ভীতি দেখিয়ে ধ’র্ষণ করেন। পরে ওই যুবতী কক্ষ থেকে বের হয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে আবুল হাশেম ঘটনাটি কাউকে জানালে যুবতীকে ‘খু’ন করার হু’মকি দেন।

এসময় ধ’র্ষিতার ফুফু ওই বাসায় গেলে আবুল হাশেম চলে যান। বিষয়টি স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মা’মলা দায়েরে দেরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মা’মলায়। শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মা’মলা করেছেন। আবুল হাশেম মা’মলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রে’ফতারের চেষ্টা চলছে।

ad

পাঠকের মতামত