344676

মালয়েশিয়ার কাছ থেকে ক্ষ’তিপূরণের সাড়ে ৬ কোটি টাকা পেল প্রবাসী বাংলাদেশিরা

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশিদের সাড়ে ৬ কোটি টাকা ক্ষ;তি;পূ;র;ণ আদায় করে শ্রমিকদের পরিবারের কাছে পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। সক্রিয় আ;ই;নি সহায়তায় ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ৬ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮২ টাকার ক্ষ;তিপূরণ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আদায় করা হয়েছে ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২ টাকা। আরও ৪৫টি আবেদনের ব;কেয়া বীমার টাকা আদায়ের প্র;চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

৪৫টি আবেদন ছাড়াও মালয়েশিয়া সরকার অনুমোদিত বীমা কোম্পানি সোকসোতে ১২টি আবেদন চলমান রয়েছে। এছাড়া পরবর্তী কার্যক্রমের লক্ষ্যে ২৫০০টি আবেদনের তথ্যাদি প্রেরণের জন্য বাংলাদেশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে পাঠানো হয়েছে বলে মিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, দূতাবাস মালয়েশিয়া সরকারের শ্রম দফতর এবং নিয়োগকর্তার কাছে দাবী জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। শ্রম ও সংশ্লিষ্ট অফিস প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বাংলাদেশে অবস্থিত ক্ষ;তিপূরণ প্রত্যাশী ব্যক্তি বা তার পরিবারের তথ্যাদি প্রেরণের জন্য হাইকমিশনে পত্র দিলে হাইকমিশন তা বাংলাদেশে অবস্থিত ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডে প্রেরণ করে।

এ পর্যায়ে প্র;শাসনিক ধীরগতির নানা অ;ভিযোগ জানিয়েছেন ভু;ক্তভোগীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কল্যাণ বোর্ড কাগজপত্র জেলা জনশক্তি অফিসে প্রেরণ করে পরিবারের তথ্য ও আ;ইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবার ওয়েজ বোর্ডের কাছে পাঠায়। এই কাজটি করার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়।

জানা গেছে, দু;র্ঘ;ট;না, ব;কেয়া বেতন, মৃ;ত্যুর ক্ষ;তিপূরণ আদায় বাবদ দূতাবাস থেকে পাঠানো চেক বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তরে সময় শেষ হয়ে যায়।

ফলে চেকটি নগদায়নে স;মস্যার সৃষ্টি হয়। চেকটি পুনরায় মালয়েশিয়ায় ফেরত পাঠানো হয় এবং নতুন করে মালয়েশিয়ার শ্রম অফিসের মাধ্যমে পেতে অনেক সময় লাগে। অপেক্ষায় থাকে পুরো পরিবার।

এ অবস্থায় ক্ষ;তিপূরণপ্রত্যাশীরা একের পর এক দেনার মধ্যে থেকে দিনাতিপাত করছেন। এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, দু;র্ঘ;ট;না, মৃ;ত্যু বা ব;কেয়া বেতন ও শ্রমিকদের ক্ষ;তিপূরণ আদায়ে আ;ইনি প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যাদের বৈধ ও কাগজপত্র সঠিক তারাই ক্ষ;তিপূরণ পাবেন। আর এই ক্ষ;তিপূরণ আদায়ে দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে।

বাংলাদেশি কর্মীরা ক্ষ;তিপূরণ পেতে যাতে কোনো হ;য়রানির শি;কার না হয়, তার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে জানিয়ে শ্রম কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় সামাজিক নি;রাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন বীমার আওতায় বিদেশি কর্মীরা নিবন্ধিত হচ্ছেন।’

‘আগে শুধু স্থানীয় নাগরিকরাই এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বিদেশি কর্মীরাও এই সুবিধা পাবেন। এটি সফল বাস্তবায়ন হলে কর্মীরা আজীবন পেনশন পাবে।’ সূত্রঃ জাগো নিউজ

ad

পাঠকের মতামত