344484

এবার বিশ্বাসঘাতকদের দলে কি সুদানও!

ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি যাত্রীবাহী বিমান সুদানের রাজধানী খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে একাধিক ইসরাইলি সূত্র খবর দিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাংক অনুসরণ করে সুদানও ফিলিস্তিন জবরদখলকারী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে বলে যখন ব্যাপক জল্পনা চলছে তখন এ খবর প্রকাশিত হলো। খবর এপি, রয়টার্স ও দ্যা আফ্রিকা রিপোর্টের।

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সাধারণত পদস্থ ইসরাইলি কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন এমন একটি বিমান সম্প্রতি খার্তুম বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর সেটি ওই বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যখন সুদান সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তখন ইসরাইলি বিমানটি খার্তুম বিমানবন্দরে অবস্থান করছিল।

কিন্তু খার্তুম বলছে, কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টিকে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করে দেয়া ঠিক হবে না।

এ ছাড়া, এত দ্রুত ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে সুদানের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

সুদানে এখন স্থিতিশীল বা প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কোনো সরকার নেই বলে তাদের পক্ষে এত বড় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। আর সুদানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই মসজিদুল আকসা জবরদখলকারী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে রাজি নয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ফিলিস্তিনি নেতারা এ ঘটনাকে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে বর্ণনা করেছেন।

এর আগে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন খার্তুমকে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একপ্রকার চেপে ধরেছে যাতে ট্রাম্প আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার কাজে বিষয়টি ব্যবহার করতে পারেন।

সুদান ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলে দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সূত্র : যুগান্তর

ad

পাঠকের মতামত