344511

আমি খুব অবাক হয়েছি: চঞ্চল চৌধুরী

মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ ঘটনাটি নিয়ে খুব অবাক হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘যুবতী রাধে’ গানটিকে আমরা সবাই প্রচলিত গান বলেই জানতাম। এমন প্রচলিত গানের জন্য অনুমতি লাগবে সেটা কেউ ভাবেনি। ইউটিউবেও এই গানের অনেকগুলো ভার্সন দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোনো ব্যান্ডের নাম ক্রেডিট হিসেবে দেয়া নেই। যদি জানা যেত গানটির মালিক সরলপুর ব্যান্ড তাহলে আইপিডিসি বা পার্থ বড়ুয়া অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতো।

আমরা সবাই দীর্ঘদিন ধরেই শিল্পচর্চার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, কোনো নেতিবাচক মানসিকতা এখানে কারোর নেই। বকুল ফুল গানটি খুব জনপ্রিয় এখন। এটা কিন্তু সর্বপ্রথম আমার কণ্ঠেই রেকর্ড হয়েছে। এরপর জলের গান গেয়েছে, দিনাত জাহান মুন্নী গেয়েছেন। এখন আমি কি বলবো যে- এই গান তারা আমার অনুমতি ছাড়া কেন গাইলো? আমি এই গানের মালিক? বা আমি এই গানের কপিরাইট আমার নামে করে নেবো? পুরো ঘটনাটিতে আমি খুব অবাক হয়েছি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘আইপিডিসি আমাদের গান’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে ‘যুবতী রাধে’ গানটি প্রকাশ হয়। এরইমধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে ভিডিওটি। তবে এ ভিডিওটি প্রকাশের পর তাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে গানের সত্ত্বাধিকারী সরলপুর ব্যান্ড।

২০১৮ সালের জুনে ‘যুবতী রাধে’ শিরোনামে এ গানটির জন্য সরলপুর ব্যান্ডকে কপিরাইট সনদ দিয়েছিলো বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। ঠিক সেই গানের কথা ও সুর হুবহু রেখে সরলপুরের অনুমতি ছাড়াই গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে আইপিডিসি গানের পরিচয়ে লিখেছে, গানটি সংগৃহীত।

কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে তাদের গান বাজারজাত করার জন্য প্রতিবাদ করে এটি সরিয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সরলপুর ব্যান্ড। এমনকি গানটি সরিয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ব্যান্ডটির মুখপাত্র এবং লিড গিটারিস্ট মারজিয়া তুরিন।

ad

পাঠকের মতামত