344143

ট্রাম্পের যে শর্তে কালো তালিকা থেকে নাম কাটছে সুদানের

শর্তসাপেক্ষে স’ন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দিচ্ছে মার্কিন সরকার। এ জন্য দেশটির কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, স’ন্ত্রাসী হা’মলায় মৃ’ত ও ক্ষ’তিগ্রস্ত এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিলে কালো তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, সুদান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন পরিবারগুলোকে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে। এই অর্থ জমা পড়লেই আমি স’ন্ত্রাসবাদে ম’দদকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে দেব। দীর্ঘদিন পরে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ন্যায় পাচ্ছে। সুদানও একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।

জবাবে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা মার্কিন কংগ্রেসে সুদান নিয়ে আপনার প্রস্তাব পাঠানোর দিকে তাকিয়ে আছি। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় সুদানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।

সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বলে ১৯৯৩ সালে আমেরিকা সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করে। গত বছর ব্যাপক বি’ক্ষোভের মুখে সামরিক বাহিনী বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

সুদানের বর্তমান সরকারের যুক্তি, ওমর আল বশির যেহেতু ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে সুদানকে এখন আর কোনোরকম স’ন্ত্রাসবাদের তালিকাভুক্ত দেশ হিসেবে রাখার যৌক্তিকতা নেই।

১৯৯৮ সালে খার্তুমে মার্কিন দূতাবাসে ভ’য়াবহ বো’মা হা’মলার পর থেকে সুদানকে সন্ত্রা’সী রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে সুদান আর্থিক সংকটে রয়েছে। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় এবার ‘ম’রার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেশটিতে দেখা দিয়েছে মা’রাত্মক বন্যা।

এ অবস্থায় অর্থনীতিতে ধ’স নেমেছে এবং তৈরি হয়েছে খাদ্য ঘাটতির আ’শঙ্কা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুদানের কাছ থেকে ইসরাইলের স্বীকৃতি আদায় করে নিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।

সুদানের নাম সন্ত্রা’সবাদী দেশের তালিকা থেকে সরানোর বিনিময়ে এই স্বীকৃতির শর্ত দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের এক নায়ক ওমর বিন বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বর্তমান বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে এই প্রস্তাব দিতে আগস্ট মাসে খার্তুত যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

গণতন্ত্রে উত্তরণ সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য সুদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের দরকার। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য সুদানি প্রধানমন্ত্রী জেনারেলদের ভিন্নমত রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত