343730

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের ইঙ্গিত সৌদি আরবের

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনার রূপরেখার ভিত্তিতে তেল আবিব-রিয়াদ সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট স্টাডিজের সঙ্গে এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ১৯৮১ সালের সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি আঞ্চলিক কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক তারই অংশ।

বিন ফারহান বলেন, আমরা সবসময় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চিন্তা করি। অবশ্যই তার আগে ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি হতে হবে।

ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের সমঝোতার জন্য আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সৌদি মন্ত্রী। বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তিই পারে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে। যদি আমরা তা না পারি তাহলে পুরো অঞ্চলকে এ ক্ষত বয়ে বেড়াতে হবে।

ফিলিস্তিনের আপত্তি এবং প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করে। সৌদি মন্ত্রী এ বিষয়েও কথা বলেন।

১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী দ্বিরাষ্ট্র প্রস্তাবনার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অস্বীকার, ফিলিস্তিনের ভূমিতে বসতি নির্মাণ এবং আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়, ইসরাইল কর্তৃক প্রত্যাখ্যানের পর ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল মধ্যকার শান্তি সমঝোতা স্থবির রয়েছে।

উপসাগরীয় সমস্যা নিয়েও কথা বলেন বিন ফারহান। বলেন, কাতারের ভাইদের সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। উপসগারীয় সংকট সমাধানে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদী। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয় সমাধানে সঠিক উপায় বের হবে বলেও বিশ্বাস করি। তবে সংকট কবে নাগাদ সমাধান হতে পারে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্কের অভিযোগ তুলে দোহার ওপর স্থল, আকাশ, জলসীমায় অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর। দোহা অব্যাহতভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ওই চার দেশের অবরোধকে কাতারের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে দোহা।

পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে দোহা। কুয়েত এবং ওমান সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।

ad

পাঠকের মতামত