340370

নুর আমার সঙ্গে নীলক্ষেতে দেখা করতে আসেন: মামলার বাদী

‘ধ’র্ষণের’ ঘটনার মীমাংসা করে দেয়ার জন্য ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নীলক্ষেতে দেখা করেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী ঢাবি ছাত্রী। তার দাবি, মীমাংসা না করে বরং বিষয়টি ভুলে যেতে বলে তাকে উল্টো হু’মকি দেন নুর।

লালবাগ থানায় করা ধ’র্ষণ মা’মলার এজাহারে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, হাসান আল মামুন আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই হওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সে আমাকে শা’রীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে হাসান আল মামুন আমাকে তার রাজধানীর নবাবগঞ্জ, মসজিদ রোড, ১০৪ নম্বর বাসায় যেতে বলে। সেখানে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে সে। ঘটনার পর আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে মামুন টালবাহানা শুরু করে।

তার অভিযোগ, উপায় না দেখে ২০ জুন বিষয়টি ভিপি নুরকে জানাই। সে বলে মামুন আমার সহযো’দ্ধা। তার সঙ্গে বসে একটা সুব্যবস্থা করে দেবো। এরপর ২৪ জুন মী’মাংসার আশ্বাস দিয়ে তিনি আমার সঙ্গে নীলক্ষেতে দেখা করতে আসেন। কিন্তু মী’মাংসার বিষয়টি এড়িয়ে আমাকে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। আমি যদি বাড়াবাড়ি করি তাহলে তার ভক্তদের দিয়ে ফেসবুকে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করাবে এবং আমাকে পতিতা বলে প্রচার করবে বলে হু’মকি দেয়।

মা’মলার অপর চার আ’সামি হলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান ও মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি। মামলায় প্রধান আ’সামি করা হয়েছে হাসান আল মামুনকে, আর অন্যদের বি’রুদ্ধে ধ’র্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রী মা’মলায় তাকে ধ’র্ষণ এবং মা’নসিক নি’র্যাতনসহ নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন।

এদিকে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভিপি নুরুল হক নূরুকে গ্রে’প্তারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত