প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে নারীকে পে’টালেন যুবলীগ নেতা
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছবি তুলতে বাধা দেওয়ায় এক নারীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে পি’টিয়ে গু’রুতর আ’হত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান কামাল মোল্লা ও তার দুই সহযোগীর বি’রুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর রোডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্রীসাগর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই নারীর পরিচিত জলিল বলেন, ‘আমি আর রোজিনা আপা সাতক্ষীরা দধি ঘরে বসে দধি খাচ্ছিলাম। এমন সময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল মোল্লার পালিত স’ন্ত্রাসী শ্রীসাগর ও সাগর মিয়া নামের দুই বখাটে এসে আমাদের ছবি তুলছিল। তাদের ছবি তুলতে রোজিনা আপা নিধেষ করলে তারা আপার ওপর ক্ষি’প্ত হয়ে মা’রধ’র শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরই কামাল মোল্লা এসে রোজিনা আপাকে টে’নে-হিঁ’চড়ে রাস্তায় ফেলে বে’ধর’ক মা’রধ’র করে। শতশত লোক দাঁড়িয়ে দেখলেও যুবলীগ নেতার ভয়ে কেউ তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি।’
এ ঘটনায় ওই রাতেই রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তালতলী থানায় যুবলীগ নেতা কামাল মোল্লাসহ তিনজনকে আ’সামি করে থানায় মা’মলা করেন। মা’মলার আ’সামি কামাল মোল্লা বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে।’
তবে এই যুবলীগ নেতা অপর দুই আ’সামি শ্রীসাগর ও সাগর মিয়ার পক্ষ অবলম্বন করে বলেন, ‘এক সাগরের হাতে ব্য’ন্ডেজ, সে কীভাবে ওই নারীকে মা’রধর করল।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি জানি না। অ’ভিযোগ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বি’রুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার দলে কেউ বদনাম করবে এমন কারও দলে জায়গা হবেনা।’
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মা’মলা হয়েছে। শ্রীসাগর নামে এক আ’সামিকে গ্রে’প্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আ’সামিদেরকে গ্রে’প্তারের চেষ্টা চলছে।’ সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়