338880

ওদের সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা কারো জানা নেই

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা। শেখ হাসিনা বা’র্ন ও প্লা’স্টিক সার্জা’রি ইন’স্টিটি’উটের সামনের ফুটপাতে বসে সালেহা শিশু আকবরকে স্তনপান করাচ্ছেন আর বিড়’বিড় করে বলছিলেন ছেলের জন্য একটু কাঁদতেও পারছি না। পাশ থেকে ছোট ভাই সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, কান্না বন্ধ করো। আল্লাহ’রে ডাকো।

সালেহার বড় ভাই গার্মেন্টস কর্মী শামীম নারায়ণগঞ্জের বি’স্ফো’রণের ঘ’টনায় দ’গ্ধ হয়েছেন। পরদিন তিনি মা’রা যান। ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে দ’গ্ধ হয়ে নিহ’ত ইব্রাহিম বিশ্বাসের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বিলা’প করতে গিয়ে মাটিতে লু’টিয়ে পড়ছেন। নাসরিন জানায়, স্থানীয় গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন তার স্বামী। অফিস শেষে মসজিদে নামাজে চলে যেতেন।

পাশেই একটি স্টিলের বেঞ্চে অনেকগুলো কলা পাওরুটি কোনো সংস্থার লোকেরা রেখে গেছেন। সেখান থেকে কলা-রুটি নিয়ে নাতনীকে খাওয়াচ্ছেন খবিরুল মিয়া। তার ভাইয়ের ছেলে দ’গ্ধ হয়েছেন। খবিরুলের নিজের কোনো ছেলে সন্তান নেই। ভাতিজাই ছিল তার আশা ভরসা। শূণ্য চোখে তাকিয়ে ছিলেন খবিরুল। মনে হয় চোখের পানিটুকুও শুকিয়ে গেছে। ভবনের পঞ্চম তলায় উঠতেই দেখা যায় এক আনসার সদস্য চিৎকার করে বলছেন, এখান থেকে বেরিয়ে যান সবাই। কেউ ভিড় করবেন না।

স্বজনদের জন্য ওয়েটিং রুমে প্রবেশ করতেই দেখা গেল এক কর্নারে নাসিমা তার খালাতো ভাইয়ের জন্য জায়নামাজে বসে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করছেন। এসময় হঠাৎ এক আনসার সদস্য এসে হাক দেয়, জুলহাসের পরিবারের সদস্য কে আছেন এখানে। জুলহাস কথাটি শুনতেই তার ছোট ভাই বুঝে যান যে জুলহাস আর নেই। ভাইরে বলে চিৎকার দিয়ে আনসারের পিছন পিছন দৌঁড়ে চলে যায় জুয়েল।

ad

পাঠকের মতামত