338808

চাঁদে পড়ছে মরচে!

চাঁদে মরচে পড়ছে। তবে তা নতুন নয়, বহু কোটি বছর ধরেই। ইসরোর ‘চন্দ্রযান-১’ এ তথ্য জানিয়েছে। চাঁদে মরচে পড়ার কারণেই ক্ষয়ে যেতে যেতেই একটু একটু করে দূরে চলে যাচ্ছে চাঁদ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ‘চন্দ্রযান-১’-এর পাঠানো ছবি ও তথ্যাদি এ চাঞ্চল্যকর খবর দিয়েছে।

নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বানানো ‘মুন মিনার‌্যালোজি ম্যাপার ইনস্ট্রুমেন্ট (এম-থ্রি)’ দিয়েই চাঁদে বরফ হয়ে থাকা জল ও বিভিন্ন খনিজের প্রথম হদিশ পেয়েছিল চন্দ্রযান-১। ২০০৮-এ। সেই সব ছবি আর তথ্যাদি বিশ্লেষণ করার পর এ বার চোখ কপালে উঠে গিয়েছে আমেরিকার হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শুয়াই লি-সহ গবেষকদলের।

তারা দেখেছেন, চাঁদে মরচে ধরেছে। আর তা হালফিলের ঘটনা নয়। বহু কোটি বছর ধরেই মরচেতে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে আমাদের চাঁদ। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ।

চাঁদে ছিটেফোঁটাও বায়ুমণ্ডল, অক্সিজেন না থাকার পর, তরল জলের অস্তিত্ব এখন কার্যত অসম্ভব হওয়ার পরেও কী ভাবে চাঁদে মরচে ধরল, এখন তা নিয়েই তুমুল দ্বন্দে পড়ে গিয়েছে নাসা ও ইসরো। মরচে ধরে ক্ষয়ে যেতে গেলে যে লোহার জল আর অক্সিজেন দু’টোই লাগে। বহু কোটি বছর আগে যৎসামান্য বায়ুমণ্ডল হয়তো ছিল চাঁদে। কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ বল প্রায় নেই বললেই চলে (পৃথিবীর ৬ ভাগের এক ভাগ) বলে চাঁদ সেই বায়ুমণ্ডল ধরে রাখতে পারেনি।

চাঁদের দুই মেরুর যেখানে পানির হদিস মিলেছে (নীল রং), যেখানে ধরেছে মরচে (কালচে রং)। তা হলে চাঁদে মরচে ধরার জন্য লোহাকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে কে? কী ভাবে? চাঁদ অক্সিজেন পাচ্ছে আর কোথা থেকে?

পাসাডেনায় জেপিএল-এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট গৌতম চট্টোপাধ্যায় জানান, অ্যাপোলো মিশনগুলির দৌলতে আমাদের অনেক আগেই জানা ছিল, লোহায় ভরা পাথরের অভাব নেই চাঁদে। কিন্তু চন্দ্রযান-১-এর পাঠানো ছবি ও তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে এই প্রথম হদিস মিলল হিমাটাইটের। একটি খনিজ পদার্থ। যা লোহার এক ধরনের অক্সাইড যৌগ। আয়রন অক্সাইড। আমরা যাকে মরচে বলে জানি।

সূত্র: আনন্দবাজার

ad

পাঠকের মতামত